নয়াদিল্লি, ৫ ডিসেম্বর: ইসরো (ISRO) ভারতীয় মহাকাশ স্টেশনের সম্পূর্ণ নীলনকশা সম্পন্ন করেছে। এই মহাকাশ স্টেশনটি পাঁচটি অংশ নিয়ে গঠিত হবে এবং সম্পূর্ণরূপে দেশীয় হবে, অর্থাৎ এটি ভারতে নির্মিত হবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে স্টেশনটি লঞ্চ হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এটি ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির জন্য একটি বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একটি জাতীয় কমিটি নকশাগুলি পর্যালোচনা এবং অনুমোদন করেছে। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ভারতের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের সাথে স্টেশনটি সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য এটি করা হয়েছে। (Bhartiya Antariksha Station)
কত খরচ হয়?
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা স্টেশনের প্রথম অংশ, যার নাম BAS-01, নির্মাণ ও স্থাপনার অনুমোদন দেয়, যা স্টেশনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। ২০২৮ সালের মধ্যে এটি মহাকাশে উৎক্ষেপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ক্ষুদ্রতম প্রযুক্তিগত উপাদানগুলির প্রয়োজনীয় প্রকৌশল এবং উৎপাদন ব্যাপকভাবে এগিয়ে চলেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর, মোট তহবিল বৃদ্ধি করে ২০,১৯৩ কোটি টাকা করা হয়েছে।
BAS-01 কী?
ইসরো আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে BAS-01 এর উপাদান তৈরি করছে। এর ফলে ভারতের মহাকাশ স্টেশন অন্যান্য মহাকাশ সংস্থা দ্বারা নির্মিত সিস্টেমের সাথে সহযোগিতায় কাজ করতে পারবে। এর অর্থ হল ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীদের সহযোগিতার কেন্দ্র হয়ে উঠবে।
গগনযান মিশনের হাইলাইটস
গগনযান মিশন হবে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর জন্য ভারতের প্রথম মিশন। এর লক্ষ্য হলো মানুষকে নিরাপদে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে নিয়ে যাওয়া এবং ফিরিয়ে আনা। সফল হলে, গগনযান মিশন একটি মহাকাশ স্টেশন নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করবে। এটি মহাকাশে টেকসই মানুষের উপস্থিতির জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিও বিকাশ করবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন ভারতের মহাকাশ অনুসন্ধানের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। এই পরিকল্পনায় ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষ পাঠানোও অন্তর্ভুক্ত। গগনযান মিশনের পর এই স্টেশনটিকে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এটি ভারতের স্পেস ভিশন ২০২৭-এর সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার লক্ষ্য মানব মহাকাশ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা এবং চাঁদে পৌঁছানোর উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করা।


