সৌর ঝড় সম্পর্কে আগাম সতর্কতা দেবে ভারতীয় ছাত্রদের তৈরি করা AI সিস্টেম

ISRO: ডঃ অখিলেশ দাস গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ প্রফেশনাল স্টাডিজের (Dr. Akhilesh Das Gupta Institute of Professional Studies) ছাত্রদের একটি দল Aditya L1 মিশন থেকে প্রাপ্ত…

Solar Storm

ISRO: ডঃ অখিলেশ দাস গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ প্রফেশনাল স্টাডিজের (Dr. Akhilesh Das Gupta Institute of Professional Studies) ছাত্রদের একটি দল Aditya L1 মিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে একটি সিস্টেম তৈরি করেছে যা সূর্য থেকে আসা ঝড় সম্পর্কে আগাম সতর্কতা (Incoming Solar Storms Warning) দিতে পারে। এটি বিশেষ করে করোনাল মাস ইজেকশনের [Halo Coronal Mass Ejections (CMEs)] কারণে সৃষ্ট ঝড়ের জন্য। এই প্রযুক্তিগত আবিষ্কারের জন্য, ISRO তাকে ইন্ডিয়ান স্পেস হ্যাকাথন ২০২৫ এর বিজয়ী ঘোষণা করেছে। এই দলটি একটি AI সিস্টেম তৈরি করেছে যা সৌর ঘটনাগুলির পূর্বাভাস দিতে এবং মহাকাশ অভিযানগুলিকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

Halo Coronal Mass Ejections (CMEs) কী?

   

সিএমই হলো সূর্য থেকে নির্গত প্লাজমার বৃহৎ মেঘ যা পৃথিবীতে আঘাত করলে ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় সৃষ্টি করে যা উপগ্রহ, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে পারে। পুরনো কৌশলগুলি প্রায়শই ভুল করত কারণ তারা সৌর বায়ুর গতির একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কাজ করত। কিন্তু ভারতীয় শিক্ষার্থীদের তৈরি নতুন এআই সিস্টেম সৌর বায়ুর পরিবর্তনশীল বৈশিষ্ট্যগুলি বোঝে এবং ঝড়ের সাথে সম্পর্কিত নির্দিষ্ট ধরণগুলি সনাক্ত করে।

এই AI মডেলের বিশেষত্ব কী?

Advertisements

এই AI মডেলের সবচেয়ে বিশেষত্ব হল এটি সম্পূর্ণরূপে আদিত্য L-1 স্যাটেলাইটে স্থাপিত SWIS-APEX পেলোড থেকে প্রাপ্ত ডেটার উপর কাজ করে। এটি একটি শক্তিশালী এবং স্বাধীন সতর্কতা ব্যবস্থা যা কিছু সেন্সর ব্যর্থ হলেও কাজ করতে পারে। এটি কেবলমাত্র চৌম্বকীয় তথ্যের উপর নির্ভর করে এমন সিস্টেমগুলির চেয়ে ভাল।

এটা কি সঠিক ছিল?

CBM যাচাই করার পর, AI সিস্টেম সৌর ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত নির্ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং খুব কমই মিথ্যা সতর্কতা দিয়েছে। এই সিস্টেমটি স্বাভাবিক সৌর বায়ু এবং প্রকৃত হুমকির মধ্যে পার্থক্য করতে পারে, যা এর নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। এই সিস্টেমটি এমন এক সময়ে তৈরি করা হয়েছে যখন ২০২৫ সালে সূর্যের কার্যকলাপ সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এমন সময়ে, আদিত্য এল-১ খুবই কার্যকর হতে পারে। এই নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে, ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হয়ে উঠতে পারে যার কাছে মানব মহাকাশ উড্ডয়ন এবং মহাকাশ আবহাওয়া সুরক্ষা উভয়েরই ক্ষমতা রয়েছে।