Sunita Williams: ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস আরও একবার ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। এখন পর্যন্ত মহাকাশে দীর্ঘতম স্পেসওয়াক করার রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। নাসা অনুসারে, উইলিয়ামস 62 ঘন্টা 6 মিনিট ধরে মহাকাশে স্পেসওয়াক করেন। এর সঙ্গে, তিনি যে কোনও মহিলা মহাকাশচারীর দ্বারা মোট স্পেসওয়াক সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষে পৌঁছেছেন। এর আগে এই রেকর্ডটি প্রাক্তন মহাকাশচারী পেগি হুইটসনের নামে ছিল, যিনি 60 ঘন্টা 21 মিনিট ধরে মহাকাশে হেঁটেছিলেন। উইলিয়ামসের নাম এখন নাসার সর্বকালের তালিকায় চার নম্বরে নিবন্ধিত হয়েছে।
স্পেসওয়াকটি ইস্ট কোস্ট টাইম (EST) সকাল 7:43 এ শুরু হয়েছিল এবং দুপুর 1:09 টায় শেষ হয়। এই অভিযানটি মোট 5 ঘন্টা 26 মিনিট স্থায়ী হয়েছিল, যার কারণে এই রেকর্ডটি আরও শক্তিশালী হয়। সুনিতা উইলিয়ামস এবং তার সহকর্মী বুচ উইলমোর সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) বাইরে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেছেন।
Sunita Williams: 8 দিনের মিশন এত বেড়ে গেল কীভাবে?
ক্ষতিগ্রস্ত রেডিও যোগাযোগ হার্ডওয়্যার অপসারণের পাশাপাশি, দুজন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনাও সংগ্রহ করেছেন। আইএসএস-এর বাইরের অংশে অণুজীবের উপস্থিতির পরিমাণ জানতে এই নমুনাগুলি অধ্যয়ন করা হবে।
উইলিয়ামস এবং উইলমোর 2024 সালের জুন মাসে বোয়িং এর স্টারলাইনার মহাকাশযানে আইএসএসে পৌঁছান। তাদের মিশন মাত্র আট দিনের জন্য নির্ধারিত ছিল, কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তাদের মহাকাশে দীর্ঘ সময় কাটাতে হচ্ছে।
স্টারলাইনার হিলিয়াম লিকেজ এবং থ্রাস্টার ব্যর্থতার মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল, যা মহাকাশযানটিকে ফেরতের জন্য অনিরাপদ করে তুলেছিল। এখন মার্চের শেষ নাগাদ স্পেসএক্সের মহাকাশযানের মাধ্যমে এই দুই মহাকাশচারীকে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে নাসা।
Sunita Williams: দুর্যোগকে সুযোগে পরিণত করেছে
যাইহোক, প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, উইলিয়ামস এবং উইলমোর তাদের বৈজ্ঞানিক কাজ চালিয়ে গেছেন। এটি NASA এবং মহাকাশ বিজ্ঞান জগতের জন্য একটি বড় অর্জন, কারণ দীর্ঘমেয়াদী স্পেসওয়াকগুলি কেবল প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে না, ভবিষ্যতের মহাকাশ মিশনের জন্যও, বিশেষ করে চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহের মিশনগুলি কার্যকর হতে পারে৷