২০২৭ সালে চন্দ্রযান-4 উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত

ISRO

চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্যের পর ভারত চন্দ্রযান-৪ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে। এটি হবে দেশের মহাকাশ অনুসন্ধানের প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই মিশনের উদ্দেশ্য হবে চাঁদ থেকে নমুনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পে পাঁচটি ভিন্ন উপাদান বহন করার জন্য LVM-3 রকেটের অন্তত দুটি লঞ্চের প্রয়োজন হবে।

Advertisements

এটি হবে চাঁদ থেকে নমুনা আনার দেশের প্রথম প্রচেষ্টা। এটি মহাকাশ গবেষণায় ভারতের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, “চন্দ্রযান-৩ মিশনের লক্ষ্য চন্দ্র পৃষ্ঠ থেকে নমুনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা।” ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) আগামী বছরগুলিতে কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিশন চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে গগনযান মিশনও। এই মিশনে নভোচারীদের লো-আর্থ কক্ষপথে পাঠানো হবে। আগামী বছর গগনযান মিশন চালু হবে।

সম্প্রতি ISRO তার 100তম মিশন চালু করেছে। এই মিশনে, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা মহাকাশবন্দর থেকে একটি জিএসএলভি রকেট থেকে নেভিগেশন স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের ব্যবহারকারীদের সঠিক অবস্থান, বেগ এবং সময় প্রদান করার জন্য ভারতীয় নক্ষত্রপুঞ্জ (NavIC) সিরিজের সাথে নেভিগেশনের দ্বিতীয় উপগ্রহ। NavIC পাঁচটি দ্বিতীয় প্রজন্মের উপগ্রহ নিয়ে গঠিত। NVS-02 ইউ আর স্যাটেলাইট সেন্টার দ্বারা ডিজাইন ও ডেভেলপ করা হয়েছে। এর ওজন প্রায় 2,250 কেজি। এতে L1, L5 এবং S ব্যান্ডে নেভিগেশন পেলোড রয়েছে।

Advertisements

আগের স্যাটেলাইট NVS-01-এর মতো, এটিতেও C-ব্যান্ডে একটি রেঞ্জিং পেলোড রয়েছে। সম্প্রতি ইসরো স্পেস ডকিংয়ের সক্ষমতা অর্জনে সফল হয়েছে। আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর ভারত এই সক্ষমতা অর্জনকারী চতুর্থ দেশ। স্পেস ডকিং প্রক্রিয়া গত বছরের শেষের দিকে চালু হওয়া ISRO-এর SpaDeX মিশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল। এই ক্ষমতা ভবিষ্যতের মানব এবং মহাকাশ মিশনের জন্য প্রয়োজনীয়। এই বড় সাফল্যে ইসরো দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী বলেন যে আগামী বছরগুলিতে দেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষী মহাকাশ মিশনের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।