ISRO: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) ১৮ মে তাদের ১০১তম উপগ্রহ RISAT-18 লঞ্চ করতে চলেছে, যা পৃথিবী পর্যবেক্ষণ এবং নজরদারি ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। এই স্যাটেলাইটটি শ্রীহরিকোটা থেকে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (PSLV-C61) এর মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হবে।
ISRO চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে আমরা জানুয়ারিতে শ্রীহরিকোটা থেকে আমাদের ১০০ তম রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছি, এখন, ১৮ মে, ভারতের ১০১ তম উপগ্রহ RISAT-18 পৃথিবী পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হবে। এই উপগ্রহটির লক্ষ্য ভারতের নজরদারি, দূরবর্তী সংবেদন এবং দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করা, যা দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় সহায়তা করবে।
ISRO-এর লক্ষ্য: জাতীয় নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয়তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ
নারায়ণন আরও স্পষ্ট করে বলেন যে সমস্ত ইসরো মিশন ভারতের নিরাপত্তা এবং জাতীয় চাহিদার উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জন্য কোন বিশেষ উৎক্ষেপণ পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন যে আমাদের সমস্ত কর্মসূচি আমাদের জনগণ এবং দেশের নিরাপত্তার জন্য। আমরা অন্য কোনও দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করি না। আমাদের লক্ষ্য আমাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
ইসরো ১৯৭৯ সালে যাত্রা শুরু করে
ISRO-এর সূচনার কথা স্মরণ করে নারায়ণন বলেন যে ভারত ১৯৭৯ সালে SLV-3 রকেট দিয়ে তার মহাকাশ যাত্রা শুরু করেছিল, যার সাফল্যের হার ছিল ৯৮ শতাংশ। তিনি বলেন যে আমাদের প্রথম সম্পূর্ণ সফল অভিযান ১৯৮০ সালে সম্পন্ন হয়েছিল এবং তারপর থেকে আমরা ক্রমাগত আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করে চলেছি। ইসরো এখন প্রতিরক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কৃষি এবং জলবায়ু পর্যবেক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে ভারতের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ISRO-এর পরবর্তী মিশন: EOS-09 (RISAT-1B)
ইসরো আসন্ন মিশন EOS-09 (RISAT-1B) ঘোষণা করেছে, যা ১৮ জুন, ২০২৫ তারিখে শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। এই উপগ্রহটি ভারতের পৃথিবী পর্যবেক্ষণ কর্মসূচিতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। জাতীয় নিরাপত্তা, নজরদারি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ISRO-এর মহাকাশ অভিযানগুলি এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, যার ফলে দেশের প্রযুক্তিগত ও কৌশলগত শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।