DRDO SMART missile features: বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের পরিবর্তনশীল পদ্ধতির পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতীয় নৌবাহিনীও দ্রুত তার অস্ত্রাগার পরিবর্তন করছে। এই পরিবর্তনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে ডিআরডিও। এই প্রেক্ষাপটে, ডিআরডিও এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে যা শত শত কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুপক্ষের সাবমেরিন ধ্বংস করবে। এখন এটি পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তাহলে আসুন এই বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সাবমেরিনের জন্য স্মার্ট মিসাইল দুঃস্বপ্ন হবে
ডিআরডিও সুপারসনিক মিসাইল অ্যাসিস্টেড রিলিজ অফ টর্পেডো (স্মার্ট) সিস্টেমের চূড়ান্ত উন্নয়নমূলক পরীক্ষা করতে যাচ্ছে। এটি এমন একটি অস্ত্র যা ভারতীয় নৌবাহিনীকে সাবমেরিন-বিরোধী যুদ্ধে এক বিরাট সাফল্য দেবে। এই ব্যবস্থাটি ইতিমধ্যে তিনটি সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে এবং এখন এটি কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত।
SMART ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব কী?
SMART হল একটি দ্বি-পর্যায়ের সিস্টেম যা টর্পেডোকে শত শত কিলোমিটার দূরত্বে নিয়ে যায়, যা প্রচলিত টর্পেডোর সীমিত পরিসরের চেয়ে অনেক বেশি। এটি একটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি হালকা টর্পেডোর সংমিশ্রণ। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রথমে সুপারসনিক গতিতে টর্পেডোটিকে বাতাসে নিয়ে যায়। তারপর লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর পর, ক্ষেপণাস্ত্রটি টর্পেডোটিকে জলে ফেলে দেয়। এরপর টর্পেডো নিজেই সাবমেরিনটি খুঁজে বের করে আক্রমণ করে।
একই সময়ে, এটি স্থল-ভিত্তিক লঞ্চার থেকে ছোড়া যেতে পারে এবং এটি তার উড্ডয়নের সময় নৌ বিমান বা জাহাজ থেকে রিয়েল-টাইম আপডেট পেতে পারে।
নৌবাহিনীর সাবমেরিন-বিরোধী যুদ্ধব্যবস্থা কীভাবে পরিবর্তিত হবে?
এখন পর্যন্ত, নৌবাহিনীকে সাবমেরিনগুলিকে মোকাবিলা করার জন্য তাদের কাছাকাছি যেতে হত, যা ঝুঁকিপূর্ণ। SMART-এর সাহায্যে, সাবমেরিনগুলিকে এখন নিরাপদ দূরত্ব থেকে লক্ষ্যবস্তু করা যেতে পারে। একই সাথে, এটি কেবল নৌবাহিনীকে তার সাবমেরিনগুলিকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে না বরং শত্রু সাবমেরিনগুলিকে আক্রমণ করার ক্ষমতাও বহুগুণ বৃদ্ধি করবে।
এমন পরিস্থিতিতে, এই ব্যবস্থার বিকাশ ভারতকে সেই অল্প কিছু দেশের তালিকায় যুক্ত করবে যাদের কাছে এত দূরপাল্লার সাবমেরিন-বিধ্বংসী আক্রমণ চালানোর ক্ষমতা রয়েছে।