ওয়াশিংটন, ৭ অক্টোবর: মহাকাশে এখনও পর্যন্ত কতজন মানুষ মারা গেছেন (Death in Space)? এত অগ্রগতি সত্ত্বেও, মহাকাশে মানুষ পাঠানো এখনও একটি বিপজ্জনক প্রচেষ্টা। ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মহাকাশ অনুসন্ধানে, মহাকাশ-সম্পর্কিত দুর্ঘটনায় ২০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে স্পেস শাটল চ্যালেঞ্জার (১৯৮৬) এবং কলম্বিয়া (২০০৩) দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ১৪ জন মহাকাশচারী, ১৯৭১ সালে সয়ুজ ১১-এ মারা যাওয়া তিনজন মহাকাশচারী এবং ১৯৬৭ সালে লঞ্চ প্যাডে আগুনে মারা যাওয়া তিনজন অ্যাপোলো ১ মহাকাশচারী।
মহাকাশচারীরা কি প্রস্তুত?
নাসা (NASA) এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি মহাকাশচারীদের প্রায় প্রতিটি ঘটনার জন্য প্রস্তুত করে, যার মধ্যে কক্ষপথে মৃত্যুও রয়েছে। প্রশিক্ষণের সময়, নভোচারীরা মৃত্যুর সিমুলেশনের মধ্য দিয়ে যান যাতে তারা মিশন এবং তাদের ক্রুদের উভয়কেই রক্ষা করার জন্য কোনও পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয় তা শিখতে পারেন। প্রাথমিক উদ্বেগ হলো জীবিত নভোচারীদের নিরাপত্তা, কারণ মহাকাশযানের আবদ্ধ পরিবেশে পচনশীল দেহ রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করে।
মহাকাশে কেউ মারা গেলে কী হবে?
যদি কোনও মহাকাশচারী আইএসএস-এ মারা যান, তাহলে তাদের দেহ সাধারণত ঠান্ডা জায়গায় রাখা হবে। কয়েক ঘন্টা বা দিনের মধ্যে, দেহটি একটি বিশেষ ক্যাপসুলে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়। নাসা পূর্বে মৃতদেহটিকে মহাকাশে সমাহিত করা বা মহাকাশে রেখে যাওয়ার মতো বিকল্পগুলি বিবেচনা করেছে, তবে এগুলি অসংখ্য নৈতিক, আইনি এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। (Death Simulation)
চাঁদে কেউ মারা গেলে কী হবে?
চাঁদের অভিযানের সময় যদি কোনও মহাকাশচারীর মৃত্যু হয়, তাহলে বাকি ক্রুরা কয়েক দিনের মধ্যে মৃতদেহ নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারবেন। যেহেতু এই যাত্রাটি এত সংক্ষিপ্ত, তাই মৃতদেহের নিরাপত্তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তার কিছু থাকবে না। মূল লক্ষ্য থাকবে ক্রুদের নিরাপত্তা এবং মৃত ব্যক্তির নিরাপদ পরিবহনের উপর।