নয়াদিল্লি, ২৮ নভেম্বর: একজন বিজ্ঞানী এমন একটি গ্রহাণু আবিষ্কার করেছেন যা অদূর ভবিষ্যতে একটি মহাদেশের সমান ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারে (Asteroid Near Earth)। এই মহাকাশ পাথরটি আতিরাস নামক গ্রহাণুর একটি দলের ৩৯তম সদস্য। এই গ্রহাণুগুলি সম্পূর্ণরূপে পৃথিবীর কক্ষপথের মধ্যেই প্রদক্ষিণ করে। সমস্যা হল উজ্জ্বল সূর্যালোকে এগুলিকে ঢেকে রাখা হয়, যার ফলে এগুলি সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। কার্নেগি ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্সের একজন বিজ্ঞানী সেপ্টেম্বর মাসে গ্রহাণু 2025 SC79 আবিষ্কার করেন। এটি মাত্র 128 দিনে সূর্যের চারপাশে একটি কক্ষপথ সম্পূর্ণ করে।
কেন এটি সনাক্ত করা কঠিন?
পৃথিবীর খুব কাছাকাছি থাকার কারণে, এই ধরনের গ্রহাণু সনাক্ত করা কঠিন। তাছাড়া, সূর্যের তীব্র আলো তাদেরকে আড়াল করে রাখে, যার ফলে তাদের সনাক্ত করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। যদি আমরা এই গ্রহাণুগুলি সনাক্ত করতে ব্যর্থ হই, তাহলে একদিন পৃথিবীতে একটি বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটতে পারে। 2025 SC79 নামের এই গ্রহাণুটি স্কট এস. শেপার্ড আবিষ্কার করেছিলেন।
এটি কীভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
এটি আবিষ্কার করার জন্য, স্কট ডার্ক এনার্জি ক্যামেরা ব্যবহার করেছিলেন, যার প্রাথমিক কাজ হল বিপজ্জনক গ্রহাণু সনাক্ত করা। নতুন আবিষ্কৃত এই শিলাটি ২,৩০০ ফুট চওড়া। যদি এটি কখনও পৃথিবীতে আঘাত করে, তাহলে এটি একটি বিশাল বিপর্যয় ডেকে আনবে, যার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ এবং প্রাণীর মৃত্যু হতে পারে। ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের জেমিনি এবং ম্যাগেলান টেলিস্কোপ এই আবিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞানীদের মতামত কী?
শেপার্ড একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাখ্যা করেছেন যে সবচেয়ে বিপজ্জনক গ্রহাণুগুলি সনাক্ত করা কঠিন। তিনি বলেন, বেশিরভাগ গ্রহাণু রাতে আবিষ্কৃত হয়, কিন্তু আতিরাস বা সূর্যের কাছে লুকানো অন্যান্য গ্রহাণু নয়। এগুলি কেবল সন্ধ্যার সময় দেখা যায়। শেপার্ড সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে যদি এই সন্ধ্যাকালীন গ্রহাণুগুলি পৃথিবীর দিকে আসে, তাহলে তারা একটি উল্লেখযোগ্য এবং গুরুতর হুমকি তৈরি করতে পারে। তবে, আরও গবেষণা এখনও প্রয়োজন।
