কলকাতা: এবছর ‘রেকর্ড-ভাঙা’ পুজো মন্ডপ উদ্বোধনের আবেদন পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলে দাবি করেছে তৃণমূল। প্রায় ৩০০০ পুজো উদ্বোধনের চাপ সামলাতে মহালয়ার আগের দিন থেকেই মন্ডপ উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন নেত্রী। সোমবার বেহালা এবং সংলগ্ন এলাকার বেশ কয়েকটি পুজো মন্ডপ উদ্বোধনে সশরীরে উপস্থিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে কিছু বিখ্যাত পুজো রয়েছে। যেমন, বেহালা বরিশা, নতুন দল, একচল্লিশ পল্লি। এছাড়াও খিদিরপুরের পঁচিশ পল্লি, চুয়াত্তর পল্লি, আলিপুর কোলাহল ছাড়াও কসবা বোসপুকুর, তালবাগান সহ হরিদেবপুরের অজেয় সংহতির পুজো মন্ডপ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বেহালা বরিষার পুজো মন্ডপ উদ্বোধনে গিয়ে কার্যত স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন নেত্রী। তিনি বলেন, “বেহালা মেট্রোরেল আমার করে দেওয়া।” রেলমন্ত্রী থাকাকালীন প্রকল্পের অনুমোদন থেকে শুরু করে অর্থ জোগান সবই তাঁর করা। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বেহালা মেট্রোর জন্য “আমিই জমিদান” করেছি বলে উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২২ আগস্টও মেট্রো নিয়ে “স্মৃতি-তাড়িত” হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, গত মাসের ২২ আগস্ট নরেন্দ্র মোদী কলকাতার তিনটি মেট্রো (Kolkata Metro) রুটের সম্প্রসারিত লাইন উদ্বোধনের দিনও স্মৃতি-তাড়িত হয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্সে তিনি পোস্ট করেছিলেন, “এটা বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই যে, এই শহরের বিভিন্ন প্রান্তকে (যেমন – জোকা, বেহালা, তারাতলা, গড়িয়া, নোয়াপাড়া, দক্ষিণেশ্বর, বিমানবন্দর, দমদম, সেক্টর ফাইভ, ইত্যাদি) একটি মহানাগরিক মেট্রো গ্রিড-এ সংযুক্ত করার জন্য যাবতীয় কাজ – তার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা, প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করা, সময়ে কাজ শুরু করা – সব কিছুই করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।”
“টালিগঞ্জ–গড়িয়া, দমদম–গড়িয়া, দক্ষিণেশ্বর–দমদম, সল্টলেক–হাওড়া – এই সব সংযোগেরই সূচনা আমার হাত দিয়ে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলপথের রুটও বাস্তবসম্মতভাবে পরিবর্তন করে তার রূপায়ণের পথ আমি প্রশস্ত করি। এই সব কাজের জন্য মেট্রো রেলওয়ের একটি পৃথক জোনও আমি কলকাতায় করি। সারা ভারতে ২০টি জোন ছিল, এটি অধিকন্তু নূতন হয়। ওয়ার্ল্ড ক্লাস স্টেশন তৈরীর ঘোষণাও ছিল আমার”, বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
