‘আমরা নারী আমরা সব পারি’, মডেলিং থেকে স্কুল শিক্ষিকা সমস্ত ভূমিকাতেই অনন্য: অপ্সরা গুহঠাকুরতা

মডেল, ফ্যাশন উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা অপ্সরা গুহঠাকুরতা কীভাবে দুর্গাপুজোর চার দিন আনন্দে কাটান, জেনে নিন তাঁর পরিকল্পনা ও শৈশবের স্মৃতি আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই…

Apsara Guha Thakurta Shines in Modeling, Teaching, and Durga Puja Celebrations

মডেল, ফ্যাশন উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা অপ্সরা গুহঠাকুরতা কীভাবে দুর্গাপুজোর চার দিন আনন্দে কাটান, জেনে নিন তাঁর পরিকল্পনা ও শৈশবের স্মৃতি

আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই আপামোর বাঙালি মেতে উঠবেন দুর্গাপুজোর আনন্দে। কারণ আট থেকে আশি সকলেই পুজোর এই কটাদিন সময় নষ্ট না করে মজা, আড্ডা, হই-হুল্লোড় আর প্যানন্ডেল হপিং করে কাটান।  তবে এখানেই শেষ নয় সঙ্গে চলে দেদার পেটপুজোও।

   

 

কিন্তু এই প্রাণের উৎসবে সেলিব্রিটিরা কে কীভাবে কাটান তা নিয়ে সকলের মনেই থাকে নানা প্রশ্ন। তাই Kolkata 24X7 পৌঁছে গিয়েছিল সেলেবদের অনন্দমহলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক পুজোর এই চারটি দিন কীভাবে কাটান অপ্সরা গুহঠাকুরতা। তাঁর পরিচয় হয়তো আলাদাভাবে দেওয়ার দরকার পরে না।  কারণ অপ্সরা গুহ ঠাকুরতা হলেন ২০১৮ ‘মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স’ এবং ২০১৯ সালে ডোমিনিকান রিপাবলিকে ‘উওম্যাান অফ দ্যন ইউনিভার্স-এর খেতাব জিতেছেন।

 

তবে এখানেই শেষ নয় তাঁর ঝুলিতে রয়েছে আরও অনেক কিছু। তিনি একদিকে মডেলিংও করেন। আবার ফ্যা্শনের প্রতিও রয়েছে গভীর ভালোবাসা। তাই তিনি নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ডও তৈরি করে ফেলেছেন ২০২০ সালে। বিভিন্ন ধরনের হ্যাখন্ডলুম শাড়ি নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু এখানেই থেমে থাকেনি তাঁর প্রতিভা তিনি কলকাতার একটি বেসরকারী স্কুলেও দীর্ঘ ১২ বছর শিক্ষকতা করেছেন। তবে আজ আমরা জেনে নেব এই বছর পুজোতে তিনি কীভাবে কাটাবেন।

 

প্রশ্ন: এইবছর পুজোর প্ল্যান কী?

উত্তর: আমার কাছে পুজো মানেই চারদিন জমিয়ে আড্ডা। সঙ্গে দেদার খাওয়া-দাওয়া। কারণ সারা বছর যতই ডায়েট করি না না কেন পুজোর কটা দিন পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আনন্দটা একেবারেই মিস করতে চাই না।

প্রশ্ন: শৈশবে কীভাবে কীভাবে কাটানো হত এই দুর্গাপুজো

উত্তর: ছোটবেলা থেকেই আমি পুজোতে বাইরে কোথাও ঘুরতে যেতে পছন্দ করতাম না।  প্রথম থেকে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো তাই ওই কটা দিন আনন্দ করেই নিজের পারাতে কাটাতে বেশি পছন্দ করতাম।

প্রশ্ন: পুজোতে কী পরিবারকে সময় দেওয়া হয়?

উত্তর: হ্যাঁ একদম। পরিবার আত্তীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধব সকলকে নিয়েই কাটিয়ে থাকি।

প্রশ্ন: পাড়ার আড্ডা নাকী প্যান্ডেল হপিং

উত্তর: আমার ক্ষেত্রে দুটোই চলে। তবে ওই প্যান্ডেল হপিং খুব একটা পছন্দ নয়। আমাদের অ্যাপার্টমেন্টেই একেবারে চারদিন ধরে খাওয়া-দাওয়া মজা করে থাকি।

Advertisements

প্রশ্ন: সাবেকিয়ানা নাকী থিমের পুজো

উত্তর: অবশ্যাঅই সাবেকিয়ানা। কিন্তু বর্তমানে বেশির ভাগ পুজো মানেই থিম। এবার এই বিষয়টি একেবারে যে যার নিজস্ব ক্লাবের মতামত। তবে সাবেকীয়ানাই এখনও মন টানে।

প্রশ্ন: ছোটোবেলার কিছু স্মৃতি কি আজও মনে পরে?

উত্তর: অবশ্যেই মনে পরে। তখন পুজো আসার আগে থেকেই ভাবতাম এই বছর পুজোতে কোন দিন কী পোশাক পরবো তার সঙ্গে আবার ম্যাচিং করে জুয়েলারী তো পরতেই হবে। এগুলো এখন হয়তো ভাবার মতো সময় থাকে না এত ব্যস্ততার মধ্যে।

 

প্রশ্ন: পুজোতে কলকাতায় থাকার ইচ্ছা থাকে নাকী বাইরে কোথাও বেরাতে যাওয়ার ইচ্ছা?

উত্তর: একদম নয়। ছোটবেলা থেকেই পুজো মানেই আমার কাছে পাড়ার আনন্দ। অবশ্যরই কলকাতা।

 

প্রশ্ন: পুজোতে রাস্তার দাঁড়িয়ে ফুচকা খেয়েছো?

উত্তর: পুজো কেন যখনই আমার মন চেয়েছে গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে ফুচকা খেয়েছি। কারণ আমি সাধারণ জীবনযাপনকে খুব পছন্দ করি।

প্রশ্ন: একদিকে মডেলিং, ফ্যশন ব্র্যান্ড আবার পরিবার সব কিছুকে কীভাবে মেইনটেন্ট করা হয়?

উত্তর: আমি মনে করি আমরা নারী আমরা সব পারি। তাই মনেই ইচ্ছা আর চেষ্টা থাকলে সবই সম্ভব।

প্রশ্ন: এই বছর কী নতুন কোনও প্রজেক্টের কাজ চলছে?

উত্তর: আমি সারাবছরই কাজ করে থাকি। বিশেষ করে যাঁরা নতুন মুখ তাঁদের নিয়ে নিজের ব্র্যান্ডের পোশাকে শ্য ট করিয়ে থাকি।