শরতকাল মানেই আকাশে-বাতাসে পুজোর গন্ধ (Durga Puja 2025)। ঢাকে কাঠি পড়ল বলে। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তাই এই বছর পুজোর কটাদিন কীভাবে কাটাচ্ছেন প্রাক্তন ফুটবলার মেহতাব হোসেন সেই কথাই জানালেন Kolkata 24X7-এ। দুর্গাপুজো মানেই ছোটবেলা থেকে আমার চারদিন জমিয়ে আনন্দ করা। কারণ ভগবান সকলের কাছেই সমান, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলে মিলে আনন্দ করাই হল উৎসবের রীতি। আমি মুসলিম হলেও কিন্তু আমি বাঙালির সমস্ত উৎসবেই মেতে উঠি। আর দুর্গাপুজো মানেই আমার কাছে শ্রেষ্ঠ উৎসব।
ছোটবেলা থেকেই পুজো আসার আগে থেকেই আমার আনন্দ শুরু হয়ে যেত, কারণ পুজোতে চারদিন কোথায় কোথায় ঘুরব থেকে শুরু করে চারদিন পাড়ার পুজোতে আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া তো থাকবেই। এই কটা দিন আমি খুব ব্যস্ত থাকতাম। তবে এই বছরটা আমার কাছে খুবই মন খারাপের। চারিপাশ পুজোর গন্ধে মেতে উঠলেও আমার বাড়িতে এই বছর পুজো হচ্ছে না। আমার বাবা মারা যাওয়ার কারণে।
ছোটবেলা থেকেই আমার ঢাকুরিয়াতেই বড় হয়ে ওঠা। যদিও পুজোর সময়ে খেলার জন্য বাইরে থাকলেও মন পরে থাকতে আমার পাড়ার ক্লাব ঢাকুরিয়াতে। বিশেষ করে ছোটবেলায় মনে পরে কোচের হাত ধরেই বাবুবাগানের ঠাকুর দেখতে আসতাম। আজ এই দিনগুলি খুব মিস করি। সেই সঙ্গে এটাও মনে পরে আমরা বন্ধুরা মিলে টাকা জমিয়ে রাখতাম পুজোতে কোল্ড ড্রিঙ্কস খাবে বলে।
তবে গত বছর থেকে আমাদের বাড়িতেও দুর্গাপুজো শুরু হয়েছে। এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে আমার স্ত্রী মৌমিতাই। কারণ মৌমিতা হিন্দু, যৌথ পরিবারে বড় হয়েছে। ওই নিজের হাতে এই পুজোর সমস্ত দায়িত্ব পালন করে থাকে। তবে এই বছর ছোট ছেলে দার্জিলিংয়ের কনভেন্টে পড়ে, সে ফিরবে। বড় ছেলে জিদান এখন কলকাতায়। তাই পুজোতে পুরো পরিবার একসঙ্গে বেড়াব।