গত বছরের ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের যৌথ কমিটির রিপোর্ট রাজ্যসভায় পেশ এবং পরবর্তীতে অনুমোদিত হয়েছে। তবে এই রিপোর্টটি পেশ হওয়ার সঙ্গেই বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, যার ফলে রাজ্যসভার সভাপতি জগদীপ ধনখড়কে কার্যপ্রণালী সাময়িকভাবে স্থগিত করতে বাধ্য হন।
ওয়াকফ সম্পত্তির নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজীকরণ করতে এই বিলটি প্রণীত হয়েছে। রাজ্যসভার সংসদ মেধা কুলকর্ণি এই বিলের রিপোর্ট পেশ করেন। কিন্তু বিরোধী সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে, তাদের আপত্তি বা অসম্মতি নোটগুলি রিপোর্ট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রতিবাদরত বিরোধী সদস্যরা স্লোগান দিতে থাকেন এবং চেয়ারম্যানের বক্তব্যের সময় বিঘ্ন ঘটান।
রাজ্যসভার সভাপতি ধনখড় বিরোধীদের শান্ত করতে গিয়ে বলেছেন, “ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করবেন না।” এর পর বিরোধী দলের নেতা এবং কংগ্রেস নেতা মালিকার্জুন খার্গে জানিয়েছেন, তারা “ভুয়া রিপোর্ট” মেনে নেবেন না, যেটি তাদের মতামত ও আপত্তিকে উপেক্ষা করে প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে রিপোর্টটি আবার যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো উচিত এবং নতুন করে উপস্থাপন করা উচিত।
খার্গে বলেছেন, “যৌথ সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে অনেক সদস্য তাদের আপত্তি জানিয়েছেন। এসব নোট সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যা গণতন্ত্রের প্রতি অবমাননা। আমরা এই ধরনের ভুয়া রিপোর্ট কখনো মেনে নেব না। যদি রিপোর্টে আপত্তি নথিভুক্ত না থাকে, তাহলে এটি পুনরায় যৌথ কমিটিতে পাঠানো উচিত।”
এই বিলের চূড়ান্ত রিপোর্ট ৩০ শে জানুয়ারি লোকসভা অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে পেশ করা হয়। দীর্ঘ আলোচনা ও ধীরতার পর ২৯ শে জানুয়ারি সংশোধিত বিলটি গৃহীত হয়। রিপোর্টে ১৪টি সংশোধন প্রস্তাব এনডিএ সদস্যদের দ্বারা গৃহীত হয়েছে, তবে বিরোধী দলের প্রস্তাবগুলি বাতিল করা হয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, এই রিপোর্টটি একটি পক্ষপাতিত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা সরকারের ইচ্ছার সঙ্গে খাপ খায়, এবং এর ফলে ওয়াকফ সম্পত্তির সঠিক রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনেক প্রশ্ন উঠছে।