বিশেষ প্রতিবেদন: উত্তরবঙ্গে ‘অপারেশন ঘাসফুল’ (Operation Grassflower) শুরু হচ্ছে। পুরো অপারেশন মনিটরিং করছেন খোদ তৃণমূল(TMC) দলনেত্রী মমতা এমনই ইঙ্গিত মিলছে। দলটির অন্দরে গুঞ্জন বিভিন্ন ‘সমস্যা’ কারণে আপাতত ততটা সক্রিয় না হলেও অভিষেকের পুরনো একটি মন্তব্য দরজা খুলে দিলে বিজেপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে নীতি প্রয়োগ শুরু হতে পারে জলদি।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই দরজা খুলে দেবেন মমতা? তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নেতৃত্বের আশা ‘অলআউট গেম’ খেলা হবে। খেলা শুরু হলেই চমকদার ফল মিলবে। বিজেপি ছেড়ে জন বার্লার তৃণমূলে আসা বিশেষ গুরুত্ব রাখছে। হেভিওয়েট আদিবাসী নেতা বিজেপির ভোটে বড়সড় ভাঙন ধরাবেন। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই দলত্যাগ উত্তরবঙ্গের ভোটে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূল পাইপলাইনে আর কোন জন?
তালিকা দীর্ঘ ও তারকাখচিত। তৃণমূল অন্দরের ইঙ্গিত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই তালিকায় সম্ভাব্য আলোচিত নাম-
১.বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু (মালদা জেলা)
২ বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ ( দার্জিলিং জেলা-শিলিগুড়ি)
৩ হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা শংকর মালাকার (দার্জিলিং জেলা)
উল্লেখ্য, তিন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নিজ নামে বিশেষ পরিচিত। তবে তারা নিজ নিজ দলের ক্রমাগত জমি হারানোর কারণে রাজনীতিতে কোণঠাসা। নিজেদের স্বার্থেই তারা শক্ত খুঁটি ধরতে মরিয়া। তিন হেভিওয়েট নেতা দলবদল বিষয়ে নীরব। বিজেপির অভ্যন্তরীণ গোলযোগে এদের মধ্যে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাজ করছে।
পদ্মবনের শংকর
জানা যাচ্ছে সিপিআইএম থেকে বিজেপি হওয়া শংকর ঘোষ শিলিগুড়ি দখলে রাখতে পারবেন না বলেই ঘনিষ্ঠ মহলে আলোচনা করেছেন। ‘গুরু’ হেভিওয়েট সিপিআইএম নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাশোগ থাকলেও ‘শূন্য’ সিপিআইএমে ফেরার সম্ভাবনা নেই। আর দলীয় কঠোর শৃঙ্খলা মেনে একদা ‘জনগণতান্ত্রিক’ বিপ্লবী শংকরকে আর ফেরাতে নারাজ সিপিআইএম।
পদ্মবনের খগেন
সিপিআইএম ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে মোদী হাওয়ায় খগেন মুর্মু জয়ী হন। তবে আসন্ন নির্বাচনের আগে বিজেপির ধস তিনি অনুভব করতে পারছেন বলেই নিজ বন্ধুমহলে বারবার বলছেন।কঠোর দলীয় নিয়মে থাকা পুরনো দলের দরজা বন্ধ। খগেনর লক্ষ্য তৃণমূল।
হাত শিবিরের শংকর
কংগ্রেসে থাকা আর ঠিক নয় বলেই ঘনিষ্ঠ মহলে আলোচনা করেছেন বর্ষীয়ান নেতা শংকর মালাকার। তিনি প্রাক্তন বিধায়ক। বাম-কংগ্রেস জোটের সফল প্রয়োগকারী হয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগমে মমতা শিবিরকে হারিয়েছিলেন। সেই জোট তেমন সফল হয়নি রাজ্যে। পুরনিগম এখন তৃণমূলের। শংকর মালাকারের কাছে অফার চলে গেছে।