ডিসেম্বর, ২০২৩ এ সংসদ থেকে ‘বহিষ্কৃত’ (Mahua Moitra) হয়েছিলেন। আর ফিরলেন জুন, ২০২৪ এ। ফিরেই মোদী সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
এদিন সংসদে মহুয়া বলেন, শেষবার যখন আমি এখানে যখন দাঁড়িয়েছিলাম, আমাকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু একজন সাংসদের মুখ বন্ধ করার ফল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে শাসকদল। আমাকে দমাতে গিয়েছিল, মানুষ ওদের ৬৩ জন সাংসদকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
মহুয়া বলেন, দ্রৌপদীর মতো আমার বস্ত্রহরণ করা হয়েছিল, কিন্তু জনসাধারণ আমার জন্য কৃষ্ণ হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্যার, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি যে আপনি এখানে এক ঘণ্টা ধরে আছেন, আমার কথাও শুনুন এবং যান… ভয় পাবেন না আপনি আমার এলাকায় দু’বার এসেছেন, তাই শুনুন স্যার।
বিরাট বিপদে তৃণমূল সাংসদ! দিতে হবে বিপুল ক্ষতিপূরণ-প্রকাশ্যে চাইতে হবে ক্ষমা
শুধু মহুয়ায় নয়, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। রাহুল বলেন, বিজেপিকে সবাই ভয় পায়। দলিত ও সংখ্যালঘুরাও বিজেপিকে ভয় পায়। আপনি (নরেন্দ্র মোদী) হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন কিন্তু কংগ্রেস আপনাকে ভয় পায় না, আপনি কংগ্রেসকে ভয় পান।
মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ ওঠে। লোকসভার এথিক্স কমিটি রিপোর্টে মহুয়াকে কড়া শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। তার পরেই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে ধ্বনিভোটে খারিজ হয়ে যায় মহুয়ায় সাংসদপদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ইন্ডি জোটের অন্যান্য নেতারা মহুয়ার পাশে দাঁড়ান।
শপথ বিতর্ক: রাজ্যপালের কাছে নজিরবিহীন আবেদন বিধানসভার স্পিকারের!
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে ফের তৃণমূলের টিকিটে লড়বেন মহুয়া মৈত্র। সেই মতো দল লোকসভা ভোটের টিকিট তাঁকে। মহুয়া বিরুদ্ধে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের সদস্য অমৃতা রায়। বিজেপি প্রার্থীকে ৬০ হাজারেরও বেশি হারিয়ে দেন মহুয়া।