মঙ্গলবার সকাল থেকেই সংসদ ভবনে শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। দেশের সাংবিধানিক কাঠামোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই পদে কে বসবেন, তা নির্ধারণে সকাল ১০টা থেকেই জোরকদমে চলছে ভোটগ্রহণ। লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা আজ তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে সংসদ ভবনে উপস্থিত হয়েছেন।
এরই মধ্যে এ দিন দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয় সাংসদ তথা অভিনেতা দীপক অধিকারী, (DEV) যিনি সবার কাছে দেব নামেই পরিচিত, দিল্লির সংসদ ভবনে এসে ভোট দেন। ভোট দিয়ে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এটি দেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি গর্বিত। তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশ মতোই ভোট দিয়েছি।”
ভোটে অংশ নিয়েছেন সমস্ত প্রধান রাজনৈতিক দল
এই নির্বাচনে প্রধানত দুই প্রার্থী মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। এনডিএ প্রার্থী এবং বিরোধী মহাজোটের প্রার্থী — দু’জনেরই সমর্থনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাংসদরা সক্রিয়ভাবে প্রচার চালিয়েছেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা চলছিল, কোন দল কাকে সমর্থন করবে।তৃণমূল কংগ্রেস আগেই ঘোষণা করেছিল যে তারা বিরোধী জোটের প্রার্থীকে সমর্থন করবে। সেই মতোই মঙ্গলবার দলের সব সাংসদই দিল্লিতে উপস্থিত ছিলেন। দেব-সহ তৃণমূলের অন্যান্য সাংসদ যেমন সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেকেই নির্ধারিত সময়েই ভোট প্রদান করেছেন।
ভোটকেন্দ্রে তারকা সাংসদের উপস্থিতি
দেবের সংসদ ভবনে উপস্থিতি যথারীতি নজর কাড়ে। সাধারণত সংসদের অধিবেশনের বাইরে খুব একটা মিডিয়ার সামনে দেখা না গেলেও, এ দিন দুপুরে দেবের ভোট দিতে আসা নিয়ে আলাদা কৌতূহল তৈরি হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দেব বলেন, “আমি একজন সাংসদ হিসেবে এখানে। এটা কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয়, এটা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। আমার পক্ষ থেকে দলের সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ।”
কঠিন লড়াই, তবুও এনডিএ এগিয়ে
ভোটের আগেই সংখ্যার হিসেব থেকে এনডিএ প্রার্থীকে এগিয়ে ধরছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদ মিলিয়ে এনডিএ-র সংখ্যা বিরোধীদের তুলনায় বেশি। তবুও বিরোধী শিবিরের তরফে বলা হয়েছে, “সংখ্যা নয়, নীতি ও মতাদর্শের লড়াইই মূল।”