সিনিয়র নেতারা কিছু বললে মেনে নিতে হয়, সৌগতকে কটাক্ষ মদনের

কেকের (KK) অনুষ্ঠানের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা এল কোথা থেকে? গতকাল দলের অন্দরে এধরনের প্রশ্ন করে বিড়ম্বনা সৃষ্টি করেছেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। রবিবার…

কেকের (KK) অনুষ্ঠানের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা এল কোথা থেকে? গতকাল দলের অন্দরে এধরনের প্রশ্ন করে বিড়ম্বনা সৃষ্টি করেছেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। রবিবার তাঁকে এবিষয়ে কটাক্ষ করলেন সৌগত রায়ের সতীর্থ মদন মিত্র। কামারহাটির বিধায়কের প্রশ্ন, বয়স হলেও সিনিয়র নেতারা ভুল বললেও মেনে নিতে হয়। কিছুটা ঠিক বললেও সব ঠিক নয়।

বিধায়ক মদন মিত্রের কথায়, আসলে সৌগত রায়ের ব্যাপারটা হল তিনি আসলে বর্ষীয়ান নেতা ওনার ৭২ বছর পার করে গেছেন। একদিক দিয়ে যদি আপনি দেখেন। কিছু কথা উনি ঠিক বলছেন। আবার কিছু কথা ঠিক বলছেন না। যেমন এটা বলছেন সোনু নিগম বা শ্রেয়া ঘোষালের মতো শিল্পী আনতে গেলেম হয় বড় প্রোমোটার নয় কোনও গুণ্ডা দরকার লাগে। এটা যেমন ঠিক। আবার প্রতিবাদ সময়ে না করে পর্দার আড়ালে অলে যান। আর এই ধরনের কথা বলে আবার পর্দার সামনে আসেন। তখন মানুষ মনে করে ব্যক্তিগত চাহিদার জন্য করছেন। তবে সৌগত রায় দলের সিনিয়র নেতা। একটু বয়স হলে সিনিয়ররা যা বলে। ভুলভাল বকলেও মেনে নিতে হয়। এটাই আমরা সব সময় বলি।

যদিও কেকের মৃত্যুর পর একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কলেজ অনুষ্ঠানের জন্য এত বিপুল অর্থ কোথা থেকে এল? তা জানতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবার সৌগত রায়ের মন্তব্য সেই জল্পনায় ঘৃতাহুতি দিয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল বরাহনগরের এক অনুষ্ঠানে সাংসদ সৌগত রায় বলেন, আমরা বরাহনগর মেলা করতাম। সেই মেলার জন্য বাইরে থেকে শিল্পী আনা হত। আমি নিজে হতে বাবুল সুপ্রিয়কে ৭ লাখ টাকা দিয়েছি, অভিজিৎকে দিয়েছি ৭ লাখ টাকা। পরে অপর্ণা আমায় বলল, দাদা যা খরচ দাঁড়াচ্ছে তাতে ভদ্র ভাবে ভাল ভাবে টাকা জোগাড় করা মুশকিল। তাই বরাহনগর উৎসব বন্ধ করে দিলাম”। সেখানে একটা ছাত্র সংসদ ৫০ লক্ষ টাকা পেল কিভাবে? যা নিয়ে বেড়েছে রাজনৈতিক চাপানুতোর।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, কীভাবে ছাত্র ভর্তির নামে ছাত্র সংসদরা কাজ করে, সেটা সকলের জানা। বহুদিন নির্বাচন করানো হয়নি কারণ ছাত্র ভর্তির নবামে তৃণমূল কংগ্রেসের দাদারা যেন পয়সা আদায় করতে পারে। ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে কলকাতা বুকে আমরা গুলি চলতে দেখেছি। এটা একটা বড় তোলাবাজির ব্যবসা। সৌগত রায়ের মনে হয়েছে, বয়স হয়েছে পাপ করা ঠিক নয় তাই মুখ ফসকে বলে দিয়েছেন।

সিপি(আই)এমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কথায়, হিন্দিতে বলে শো চুয়া খা কে মিয়াঁ হজ কো চলে। এরা ১০০ টা ইঁদুর খেয়ে এখন বলে পবিত্র হব। এরাই তো ৭০ এর দশকে বামপন্থীদের ছাত্র রাজনীতি করতে দেবে না বলে মস্তান বাহিনী তৈরি করেছিল। সিবিআই তদন্ত করছে। উপেন বিশ্বাসের মতো সৌগত রায় আরও কিছু বলুন।