‘এ তো ঘোড়ায় হাসবে!’ এভাবেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা তথা দলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। ধর্মেন্দ্র আজ সংসদে বলেন, নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন বিরোধীরা। টুইটে শিক্ষামন্ত্রীকে তুলোধনা করেন কুণাল ঘোষ।
ধর্মেন্দ্র সংসদে বলেন, আমি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে হাউসের সামনে জানাতে চাই, গত ৭ বছরে প্রশ্নফাঁসের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এর পাল্টা এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘এ তো ঘোড়ায় হাসবে!! সারা দুনিয়া জানে প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারি; আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংসদে বলছেন, হয়নি!! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানেন তিনি কী বলছেন??’
৫ মে, রবিবার দেশজুড়ে নিট ইউজি পরীক্ষা হয়। ওই দিনই পটনার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে প্রশ্নের ফোটোকপি বিলি করার অভিযোগ পায় পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, নিট কেলেঙ্কারির জাল ছড়িয়ে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, হরিয়ানা, গুজরাত, ওডিশা, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক-সহ একাধিক রাজ্যে।
NEET-এর প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি, সংসদে দাবি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর
২০১৩ সাল থেকে নিট পরীক্ষার মাধ্যমে সর্বভারতীয় স্তরে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি শুরু হয়েছে। তার আগে রাজ্যের বোর্ডগুলি পৃথকভাবে মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিত। সেই পরীক্ষার মাধ্যমে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতেন। কিন্তু ২০১৪-২০১৫ সালেও এই ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি, কারণ বিভিন্ন বোর্ডের আপত্তি ছিল।
২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্থির হয়, সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তবে ২০১৬ সাল থেকে নিট পরীক্ষা কেন্দ্রীয় ভাবে হলেও এই ‘দুর্নীতি’র কথা এবারই প্রথম প্রকাশ্যে আসে। ৪ জুন লোকসভা ভোটের দিন নিটের ফলাফল প্রকাশ করে এনটিএ।
তৃণমূলে ফিরছেন অর্জুন-তাপস? একুশের মঞ্চে মমতার মন্তব্যে শুরু জল্পনা
সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা (২০২৪) বাতিলের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারীরা অভিযোগ করেন যে, এবার নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। অন্যান্য অনিয়মও হয়েছে। এরপর একযোগে সমস্ত মামলার শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে। আজ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলছে।