TMC: রাষ্ট্রপতির বাহ্যিক রূপ নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে ক্ষমা চাইলেন কারামন্ত্রী

কখনো ‘দাঁত ফোকলা হাফ মন্ত্রী’ কখনো বা তাঁকে কাকের মতো দেখতে বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। তাঁর মতো হাফ মন্ত্রীর কথার উত্তর দিই না, বলে তৃণমূল(TMC)…

কখনো ‘দাঁত ফোকলা হাফ মন্ত্রী’ কখনো বা তাঁকে কাকের মতো দেখতে বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। তাঁর মতো হাফ মন্ত্রীর কথার উত্তর দিই না, বলে তৃণমূল(TMC) মন্ত্রী অখিল গিরিকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এহেন মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করে বসলেন রামনগরের বিধায়ক এবং রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মন্ত্রীর অশোভনীয় মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় রাজনীতি। বিরোধী দলগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় সুর চড়িয়েছে। তার বক্তব্যের ফলে যখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে শেষমেশ ক্ষমা চাইলেন মন্ত্রী অখিল গিরি।

নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে তৃণমূলের শহিদ মঞ্চে আগুন লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর চলে প্রতিবাদ কর্মসূচি। তৃণমূলের তরফে রাস্তায় রাস্তায় অবরোধ কর্মসূচি চালানো হয়েছিল। সেখান থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি বলেন,’বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভাল! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা?
রাজ্যের মন্ত্রী যখ্ন এই মন্তব্য করছেন, তখন তাঁর পাশে রয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এই আক্রমণ করতে গিয়ে যে মন্তব্য রাজ্যের মন্ত্রী করেছেন, তা ঘিরে শোরগোল ফেলে দিয়েছে বিজেপি। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসী বিরোধী বলেও দাবি করেছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অবিলম্বে ক্ষমা চান মন্ত্রী অখিল গিরি,দাবি তুলে সুর চরিয়েছে বিজেপি।
রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে আপত্তিকর মন্তব্যে যখন বিরোধীরা সুর চড়াচ্ছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে অখিল গিরি বক্তব্য,এক মাস আগে থেকে শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন। তিনি বয়স্ক মানুষ। তাঁর মনে ক্রোধ জন্মেছিল”। তিনি তার কথার সংযোজন করে বলেন,” রাষ্ট্রপতি মহোদায়াকে আমি কোনও অসম্মান করিনি। তাঁর প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। যে কথা আমার মুখ থেকে বেরিয়েছে, তা ক্রোধের বশে বেরিয়ে এসেছে। আমি অনুতপ্ত”।