করোনা অতিমারির মাঝেই রক্তাক্ত হয়েছিল হুগলির তেলিনিপাড়া (Bengal Politics)। ইটবৃষ্টি, আগুন থেকে ভাঙচুর- ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয়েছিল গঙ্গার পশ্চিম পাড়ে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল। বছর পাঁচেক পর সেই অভিযোগই যেন জোরাল হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে।
২০২০ সালের মে মাসে উত্তপ্ত হয় হুগলির তেলিনিপাড়া। সেই সময় চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার ছিলেন হুমায়ুন কবীর। সেই ঘটনার কয়েক মাস পরেই চাকরি থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তৃণমূলে যোগ দিয়ে ভোটে লড়েন। এখন তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক। সম্প্রতি তাঁর একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ভাইরাল হয়েছে বলে দাবি। যেখানে তাঁকে একটি হিন্দু বিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক মন্তব্য সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে।
সেই চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন সাংবাদিক প্রসূন মৈত্র। তেলিনিপাড়ার ঘটনায় পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কারণ, সংখ্যাগুরুদের অভিযোগ ছিল, তেলিনিপাড়ায় সংখ্যালঘুদের তোষণ করছে পুলিশ-প্রশাসন। অযথা সংখ্যাগুরুদের হেনস্থা করা হচ্ছে। ভাইরাল হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে হুমায়ুন কবীরের মন্তব্য যেন সেই অভিযোগকেই মান্যতা দিচ্ছে।
এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই মুখ খুলেছেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। নিজেকে উদার এবং ধর্মনিরপেক্ষ দাবি করে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। ভাইরাল চ্যাটের মন্তব্য তাঁর নয় বলেও দাবি করেছেন তিনি। এ নিয়ে আইনি লড়াইয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন প্রসূন মৈত্র।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিপর্যস্ত ইউনুস! নেবেন বিশ্বনেতাদের পরামর্শ
দুই পক্ষই নিজের অবস্থানে অনড়। এরই মাঝে কেউ কেউ মনে করছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে হুমায়ুন কবীরের মন্তব্য। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি মুসলিম মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দ্বিগুণ করার দাবি তোলেন। বিতর্কের মুখে অবস্থান বদল করেন। সেক্ষেত্রেও তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতার নামে পক্ষপাতিত্ব সামনে আসে। তাই তেলিনিপাড়ার ঘটনায় পুলিশ কমিশনার হিসেবে হুমায়ুন কবীরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।