আফগানিস্তানের (Afganistan) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, পাকিস্তানের (Pakistan) এয়ারস্ট্রাইকগুলোর প্রতিশোধ নিতে আফগান তালেবান (Taliban) বাহিনী পাকিস্তানের কয়েকটি স্থানে আক্রমণ চালিয়েছে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি অনুযায়ী, ১৫০০০ সেনা বিশিষ্ট আফগান তালেবান বাহিনী এই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তুতে, যা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আফগানিস্তানে চালানো বিমান হামলার প্রতিক্রিয়া। ইতিমধ্যে পাক-আফগান সীমান্তবর্তী একাধিক ছোট ছোট শহরে নিজেদের দখলে নিয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবানের একাংশ।
বিদায়! কংগ্রেস সদর দফতর থেকে শুরু মনমোহনের শেষযাত্রা, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য
এই ঘটনাটি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের নতুন একটি বিরূপ দিক হিসেবে সামনে এসেছে। পাকিস্তান কিছু দিন আগে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় তালেবানদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায়, যেখানে বেশ কিছু তালেবান সদস্য নিহত হয়। পাকিস্তান বলছে, তারা আফগানিস্তানে থাকা তালেবান বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছিল, যাতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। তবে, এই হামলা আফগান সরকার এবং তালেবানদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তান উভয়ই সীমান্ত সমস্যার সম্মুখীন, এবং তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে একে অপরকে অভিযুক্ত করছে, বিশেষত সীমান্তে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও হত্যাযজ্ঞের জন্য। পাকিস্তান অভিযোগ করেছে যে আফগানিস্তান তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়েছে, এবং আফগান তালেবানও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বৃদ্ধি।
একে জিনাতে রক্ষে নেই! তারমধ্যে আরও ২০ চিতার আমদানি মোদী সরকারের
পাকিস্তানের বিমান হামলার পর আফগান তালেবান বাহিনীর এই পাল্টা আক্রমণ, যে কোনওভাবেই অঞ্চলটির শান্তি বজায় রাখতে সমস্যাগ্রস্ত হয়ে উঠছে। আফগানিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে কিছু নেতৃবৃন্দ একে একটি “অপরাধ” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, এবং তারা এই ধরনের আক্রমণের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এই হামলা দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও অবনতি করতে পারে।
উল্লেখযোগ্য যে, আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের পর, দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তালেবান সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর, তাদের দ্বারা চালানো বিভিন্ন ধরনের আক্রমণ পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য এক নতুন নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। পাকিস্তান এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চায় এবং আফগানিস্তানে তালেবানদের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের হামলা চালিয়েছে। তবে, এর ফলে আফগানিস্তানে আরও বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।
বাড়িতে বিপুল টাকা! ইডি আধিকারিকের বাসভবনে হানা সিবিআইয়ের
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে এই শত্রুতার পরিস্থিতি কেবল দুটি দেশের জন্য নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি বড় ধরনের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে অবিলম্বে উদ্যোগ নেবে।