‘অভিষেকের নামেই ‘বাঁচতে চান’ শুভেন্দু! ‘অভিষেকই ঈশ্বর’, বিজেপি নেতার ধ্যান দেখে তৃণমূলের খোঁচা

রাজনীতির মঞ্চে আবারও তীব্র বাকযুদ্ধের সাক্ষী রইল বাংলা। (Abhishek Banerjee)  এইবার বিতর্কের কেন্দ্রে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক(Abhishek Banerjee)  অভিষেক…

Suvendu Adhikari Mocks Abhishek Banerjee with Repeated Name Chants

রাজনীতির মঞ্চে আবারও তীব্র বাকযুদ্ধের সাক্ষী রইল বাংলা। (Abhishek Banerjee)  এইবার বিতর্কের কেন্দ্রে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক(Abhishek Banerjee)  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে বসে একটানা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জপ করতে দেখা গেল শুভেন্দুকে। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হল রাজনৈতিক টানাপোড়েন, যার জেরে উত্তাল হল সোশাল মিডিয়া।(Abhishek Banerjee)  

ভিডিওটি প্রথম শেয়ার করেন অভিষেক নিজেই। এক্স (পূর্বতন টুইটার)(Abhishek Banerjee)  হ্যান্ডেলে ভিডিওটি পোস্ট করে তৃণমূল সাংসদ লেখেন, “কলিযুগে ভগবানের নামজপ করা হয়। কিন্তু বিজেপি নেতা বিশ্বাস করেন আমার নামজপ হয়তো তাঁকে পরিত্রাণের সুযোগ দেবে কিংবা কয়েকটি আসন বাড়ানো যাবে। তবে এটা কখনই বাংলায় হবে না।(Abhishek Banerjee)  

   

ভিডিওতে দেখা যায়, সংবাদমাধ্যমের সামনে মাইক্রোফোন(Abhishek Banerjee)  হাতে শুভেন্দু একাধিকবার উচ্চারণ করছেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়…”। কিছু সময়ের জন্য তিনি এই নামজপ অব্যাহত রাখেন এবং দাবি করেন, রাজ্যে সমস্ত দুর্নীতির মূল কেন্দ্রবিন্দু অভিষেকই(Abhishek Banerjee)  

অভিষেকের পোস্টের পর, তৃণমূলের অন্য নেতারাও যোগ দেন (Abhishek Banerjee)  ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে। আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য ভিডিওটি শেয়ার করে লেখেন,

“তার যদি কেটে যায়,

নেমে আসে চাপ;

গুরু নাম জপ করো,

কমে যদি পাপ!”

এই ব্যঙ্গাত্মক ছন্দ ঘিরে হাসির রোল পড়ে যায় (Abhishek Banerjee)  নেটমাধ্যমে। দেবাংশুর কথায় রাজনৈতিক কটাক্ষ স্পষ্ট—একদিকে শুভেন্দুর ‘নামজপ’কে পাপমোচনের প্রয়াস হিসেবে দেখানো হয়েছে, অন্যদিকে এটি তুলে ধরা হয়েছে ভণ্ডামি ও রাজনৈতিক নাটক হিসেবে।(Abhishek Banerjee)  

এই ভিডিও এবং তার প্রতিক্রিয়াকে(Abhishek Banerjee)  কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতাদের একাংশ বলছেন, বিজেপির রাজনীতি এখন অভিষেক-বিমুখ না হয়ে অভিষেক-নির্ভর হয়ে পড়েছে। বিরোধী দলনেতার কাজ রাজ্যের মানুষের কথা বলা, সরকারের ভুল ধরিয়ে দেওয়া। সেখানে শুধু ব্যক্তিবিশেষকে টার্গেট করে নাম জপ করে গেলে, সেটিকে রাজনীতির দেউলিয়া ভাবনা ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না(Abhishek Banerjee)  

Advertisements

অন্যদিকে, বিজেপির তরফে পাল্টা প্রতিক্রিয়া এসেছে। বিজেপি নেতারা(Abhishek Banerjee)  বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী কেবল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে চেয়েছেন, রাজ্যের দুর্নীতির কেন্দ্র কে। একজন জননেতা হিসেবে তার দায়িত্ব জনগণের সামনে সত্য তুলে ধরা, এবং সেই কাজটিই করেছেন তিনি।(Abhishek Banerjee)  

রাজনৈতিক মহলে বিশ্লেষকদের মতে, বাংলার রাজনীতি এখন ক্রমশই (Abhishek Banerjee)  ব্যক্তি আক্রমণ ও প্রতিপক্ষকে ব্যঙ্গ করে চর্চিত হয়ে উঠছে। তাতে রাজনৈতিক শালীনতা যেমন প্রশ্নের মুখে পড়ছে, তেমনই জনগণও বিরক্ত হচ্ছেন নেতাদের এমন “নাটকীয়” কার্যকলাপে(Abhishek Banerjee)  

এই ঘটনা কেবলমাত্র একটিমাত্র ভিডিও ঘিরে (Abhishek Banerjee)  হালকা হাস্যরস নয়, বরং এটি প্রতিফলন করছে বর্তমান বাংলা রাজনীতির সংকীর্ণ মানসিকতার। যেখানে নীতি ও উন্নয়ন প্রসঙ্গ হারিয়ে গিয়ে জায়গা করে নিচ্ছে ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং নাটকীয় উপস্থাপন।(Abhishek Banerjee)  

শেষ কথা, একজন বিরোধী দলনেতার কাছ থেকে(Abhishek Banerjee)  সাধারণ মানুষ যেমন কঠিন প্রশ্ন ও বিকল্প দিশার আশা রাখে, তেমনই একজন শাসক দলের নেতার কাছেও প্রত্যাশা থাকে পরিপক্কতার। কিন্তু রাজনীতির এই ‘নামজপ সংস্কৃতি’ কোথাও যেন গণতান্ত্রিক চর্চার মান ক্ষুণ্ন করছে। সোশাল মিডিয়ার ট্রেন্ড যতই মজাদার হোক না কেন, রাজনীতি যদি শুধুই ট্রেন্ডে সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে জনগণের ভরসা হারানোর আশঙ্কাও প্রবল।(Abhishek Banerjee)