বাংলার রাজনীতিতে ধর্মীয় বিভাজনের অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

বাংলার রাজনীতিতে এক নতুন মোড় (Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  নিয়েছে বিজেপির সংগঠন। একদিকে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে একচ্ছত্র শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে, সেখানে অন্যদিকে বিজেপি…

Suvendu Adhikari Addresses Sandeshkhali Ahead of Bengal Assembly Elections, Calls for Hindu Unity

বাংলার রাজনীতিতে এক নতুন মোড় (Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  নিয়েছে বিজেপির সংগঠন। একদিকে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে একচ্ছত্র শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে, সেখানে অন্যদিকে বিজেপি তার শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং বাংলার মসনদ দখলের জন্য প্রস্তুত। এই প্রেক্ষাপটে(Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি সন্দেশখালিতে একটি জনসভা থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখলেন। তিনি বাংলার হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বললেন, “হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হন, নাহলে বাঁচতে পারবেন না।”(Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  

শুভেন্দু অধিকারী তার বক্তব্যে যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ(Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  করেছেন তা স্পষ্টভাবে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নৃশংস অত্যাচারের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসেছে। তিনি উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন প্রতিদিন হচ্ছে, এবং আমাদের(Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  দেশে সেই অত্যাচারের আক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।” এর পাশাপাশি, তিনি(Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারা হিন্দুদের ওপর শোষণ এবং আক্রমণের কথা তুলে ধরেন। তিনি স্পষ্টভাবে দাবি করেন, “মমতার তোষণের রাজনীতি শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে না, বরং হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করছে।”(Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  

   

শুভেন্দু অধিকারী তার বক্তব্যে আরও বলেন, “হিন্দু রক্ত রাতের অন্ধকারে বলিদান হচ্ছে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তন না হলে হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।” তার ভাষায়, “এদের (তৃণমূল কংগ্রেস) মাথায় মমতার হাত আছে, তাই তারা বেপরোয়া।” তিনি আরও বলেন, “যদি এই অবস্থা (Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  অব্যাহত থাকে, তবে শুকনো লঙ্কা জ্বালিয়ে তা নাকে জ্বালান, তবেই বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।”(Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  

শুভেন্দু অধিকারী তার বক্তব্যে কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন, যা হিন্দু সম্প্রদায়ের (Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  ওপর আক্রমণের বাস্তব প্রমাণ হিসেবে উঠে আসে। তিনি উদাহরণ দেন, “জামাই ষষ্ঠীর দিন শাহজাহানের বাহিনী এখানে সুকান্ত মণ্ডলকে খুন করেছে।” শুভেন্দু জানান, মমতার(Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তদের চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছিল এবং অপহরণের মামলাটি থেকেও মুক্তি দিয়েছিল। তিনি আরো দাবি করেন, “আমি এই কেসটি কলকাতা হাইকোর্টে নিয়ে গিয়েছিলাম এবং তা রিওপেন করিয়েছিলাম। আগামী সোমবার হাইকোর্ট খুললে, নিশ্চয়ই বিচারের বাণী জাগ্রত হবে।”(Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  

শুভেন্দু অধিকারী তার বক্তৃতায় বিজেপির পক্ষ থেকে বাংলার মানুষের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, “আমি গোটা রাজ্যের হিন্দুদের (Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  ঐক্যবদ্ধ হতে বলব, না হলে বাঁচতে পারবেন না।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি শুধু রাজ্যের হিন্দুদের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন, বরং একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য বিজেপির সাহায্য চেয়েছেন। তার মতে, “জনতা পার্টির সরকার আসবে। তার আগেই অভিযুক্তদের শাস্তি হবে।”(Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  

Advertisements

শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  তার বক্তব্যে আরও একটি বিষয়কে গুরুত্ব দেন, যা হল হিন্দুদের বিরুদ্ধে মমতা সরকারের বৈষম্যমূলক নীতি। তিনি অভিযোগ করেন, “রাজ্য সরকার ১৮০টি সম্প্রদায়কেও ওবিসি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার মধ্যে ১১৯টি মুসলিম সম্প্রদায়।” এর মাধ্যমে তিনি মমতা সরকারের ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব এবং হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন(Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  

এই বক্তব্যে শুভেন্দু অধিকারী যে আক্রোশ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তা স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করে বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক চিত্রের একটি গভীর সংকটকে। তার আহ্বান(Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  ছিল হিন্দুদের মধ্যে একতা গড়ে তোলার এবং শাসকদলকে তাদের অত্যাচারের জন্য শাস্তি দেওয়ার। তবে, তার এই দাবির সাথে সাথে প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যে ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি কতটুকু গ্রহণযোগ্য এবং কিভাবে এটি বাংলার সামাজিক ভারসাম্যকে প্রভাবিত করবে(Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  

শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য বাংলার রাজনৈতিক(Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)  দিগন্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত সৃষ্টি করেছে। তার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান এবং রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা সত্যিই রাজ্যের ভবিষ্যতের দিকে নতুন আলো ফেলে। এর মাধ্যমে তিনি বিজেপির সম্ভাব্য অবস্থান এবং বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনের বিরুদ্ধে এক দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু এই ধরনের বক্তব্য ভবিষ্যতে কতটা কার্যকরী হবে, তা শুধুমাত্র সময়ই বলে দেবে।(Suvendu Adhikari in Sandeshkhali)