‘পশ্চিমবঙ্গের সর্বনাশ কীভাবে হচ্ছে বুঝতে পারছেন?’ বাম জমানার প্রসঙ্গ টেনে CPIM কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী রাজ্যবাসীর কাছে প্রশ্ন রেখেছেন।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রথম মন্ত্রী। এই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন CPIM নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি তৃণমূলের দিকে একের পর এক বাক্যবাণ ছুড়ে দেন।সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, “সব মন্ত্রীরা দুর্নীতিগ্রস্ত আর মুখ্যমন্ত্রী একা সাধু? তৃণমূলের ঘরে থেকে দুর্নীতি করে শুভেন্দু এখন বিজেপি নেতা। তাকে তো ধরা উচিত। আচ্ছা দিল্লি ধরছে না, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর তো ধরা উচিত। ওনার এখন একটাই লক্ষ্য যা পারো করো কিন্তু পিসি ভাইপোকে টাচ করবে না”।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির বিষয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ইডি অ্যারেস্ট করেছে আরো অনেক জনকেই তো করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের সর্বনাশ কীভাবে হচ্ছে বুঝতে পারছেন? শিক্ষার দুর্নীতি এত ভয়াবহ যে শিক্ষা মন্ত্রী এখনও জেলে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রীর দুর্নীতি ধরা পড়ে গেল। ওকে দল থেকে সরানোর ক্ষমতা এখন মুখ্যমন্ত্রীর নেই। কারণ ও তো ক্যাশিয়ার ছিল”।
এর সঙ্গেই তিনি বলেন, “আমরা বারংবার বলেছি এখানে কোটি কোটি টাকার ঘোটালা। মুখ্যমন্ত্রী সরকারীভাবে একাধিকবার অন রেকর্ড বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা সাড়ে নয় কোটি তার মধ্যে কুড়ি শতাংশ মানুষ রেশন নেয় না। সাড়ে সাত কোটি মানুষ রেশন নিচ্ছে তাহলে প্রত্যেক সপ্তাহে আড়াই কোটি মানুষের রেশনের টাকা কোথায় যাচ্ছে?”
আরও পড়ুুন: CPIM: ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র সম্পত্তি কত? বিস্ফোরক তথ্য দিলেন সেলিম
তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের গ্রেফতারির প্রসঙ্গে সুজন বলেন, “অনুব্রত? সবচেয়ে ভরসা সে এখন জেলে। জ্যোতিপ্রিয় সবচাইতে বেশি ভরসা সে এখন জেলে। পার্থ চ্যাটার্জি সেও এখন জেলে। তার এখন একটাই লক্ষ্য যা পারো ভাই কর কিন্তু পিসি ভাইপোকে টাচ করবেনা। বিজেপি পলিটিক্যালি ইডি সিবিআইকে ব্যবহার করে এই নিয়ে আমাদের কোনও সন্দেহ নেই।” তিনি আরো বলেন, “সেই কারণেই অন্যান্য রাজ্যে ইডি, সিবিআই বিরোধীদলের মাথাদের ধরে টানাটানি করে। পশ্চিমবঙ্গের পলিটিক্যালি করছে, তাই দলের মাথা ধরে টানাটানি করছে না। হাত, পা, লেজ ধরছে তাহলে মাথা কেনও ধরছে না?”