‘রাজ্যে চাই যুব নেতৃত্ব!’ শিবসেনা সাংসদের মন্তব্যে বিতর্ক

পটনা ৬ অক্টোবর: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে (Bihar Election)। এর মাঝেই শিবসেনা (উদ্ধব বলসাহেব ঠাকরে ) সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী বুধবার বিহারের রাজনীতিতে বড়…

Bihar Election

পটনা ৬ অক্টোবর: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে (Bihar Election)। এর মাঝেই শিবসেনা (উদ্ধব বলসাহেব ঠাকরে ) সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী বুধবার বিহারের রাজনীতিতে বড় মন্তব্য করে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরী করেছেন। তিনি বলেছেন, “বিহারে এখন যুব নেতৃত্বের প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার যথেষ্ট দীর্ঘকাল রাজ্যের সেবা করেছেন, এবার নতুন প্রজন্মকে সুযোগ দেওয়ার সময় হয়েছে।”

Advertisements

এই মন্তব্যটি বিহারের রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর নেতৃবৃন্দের মধ্যে। প্রিয়ঙ্কা, যিনি মহারাষ্ট্র থেকে সাংসদ, এই বক্তব্যে বিহারের যুবকদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছেন এবং নিতীশের দীর্ঘ শাসনকাল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “নিতীশ কুমার বিহারের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন, কিন্তু দীর্ঘকালীন শাসনের কারণে রাজ্যের যুবশক্তি দমিত হয়ে পড়েছে।

   

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে মুখ্যমন্ত্রী, ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও চাকরির ঘোষণা

বেকারত্ব, কর্ম সংস্থানের এবং উন্নয়নের অভাবে যুবকরা হতাশ। এখন সময় যুব নেতৃত্বের, যারা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিহারকে এগিয়ে নেবে।” এই কথাগুলি বলার সময় তিনি বিজেপি এবং আরজেডি-এর যুব নেতাদের উদাহরণ দিয়েছেন, যেমন তেজস্বী যাদব এবং অন্যান্য নতুন মুখ। নিতীশ কুমার ২০০৫ সাল থেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘকাল ক্ষমতায় রয়েছেন।

তাঁর শাসনামলে রাজ্যে রাস্তাঘাট, বিদ্যুতায়ন এবং নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে, কিন্তু সমালোচকরা বলেন যে দলগুলোর ঘনঘন জোট পরিবর্তন এবং দুর্নীতির অভিযোগ তাঁর ইমেজ ক্ষুণ্ণ করেছে। ২০২২ সালে আদিত্য ঠাকরের সাথে তেজস্বীর সাক্ষাতে প্রিয়ঙ্কা উপস্থিত ছিলেন এবং তখনই তিনি যুব নেতৃত্বের গুরুত্ব উল্লেখ করেছিলেন।

এবারের মন্তব্যটি আরও স্পষ্টভাবে নিতীশের বিরুদ্ধে, যা জেডিইউ-এর মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদী এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “যুব নেতৃত্বের কথা বলার আগে প্রিয়ঙ্কা নিজের দলের অভ্যন্তরীণ কলহ দেখুন।” এই বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে বিহারের রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। ২০২৫-এর নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে জেডিইউ এবং বিজেপির মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্ক চলছে।

নিতীশের ‘প্রগতি যাত্রা’ ক্যাম্পেইন চলছে, যাতে তিনি নিজেকে এনডিএ-এর নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু প্রিয়ঙ্কার মন্তব্য এই ক্যাম্পেইনকে চ্যালেঞ্জ করেছে। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এর সমর্থনে বলেছেন, “যুবকরাই বিহারের ভবিষ্যৎ। নিতীশের যুগ শেষ হয়ে গেছে।” অন্যদিকে, জেডিইউ নেতা বিজয় চৌধুরী বলেছেন, “প্রিয়ঙ্কার মন্তব্য বাইরের হস্তক্ষেপ, বিহারের জনগণ নিতীশের উন্নয়নমূলক কাজ ভুলবে না।”