প্যালেস্তাইনে চলতি ইসরায়েল আক্রমণ কে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিল স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া। মানবতার সংকটের মধ্যে ভারত সরকার যেন ত্রাণসামগ্রী পাঠায়, এই দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছে এসএফআই। শনিবার এই চিঠিতে এসএফআই প্যালেস্তাইনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেছে, ইজরায়েলের নির্বিচার বোমাবর্ষণ এবং ত্রাণ বিতরণে বাধা একটি সভ্যতাকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা।
তারা দাবি করেছে, ভারতের দীর্ঘদিনের প্যালেস্তাইন-বান্ধব ঐতিহ্যের প্রেক্ষিতে সরকার এই সংকটে এগিয়ে আসুক এবং খাদ্য, ওষুধসহ ত্রাণসামগ্রী পাঠাক। এই উদ্যোগে জনগণের সমর্থন জোগাড় করতে এসএফআই-এর লক্ষাধিক কর্মী কাজ করবে বলে ঘোষণা করেছে। এসএফআই-এর চিঠিতে লেখা আছে “প্যালেস্তাইনে যা ঘটছে, তা শুধু যুদ্ধ নয়, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
লক্ষ্মীপুজোয় কমবে মেট্রো, জানুন সম্পূর্ণ সময়সূচি ও পরিষেবার পরিবর্তন
ইজরায়েলের জায়নবাদী নেতানিয়াহু সরকার নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করে শিশু ও নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। ত্রাণবাহী ফ্লোটিলাগুলো বাজেয়াপ্ত করছে, যাতে খাদ্য ও ওষুধ না পৌঁছায়। ফলে শিশুরা অভুক্ত অবস্থায় মারা যাচ্ছে।” তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররা প্যালেস্তাইনের পক্ষে আন্দোলন করছে। এই প্রেক্ষিতে ভারত যেন নৈতিক দায়িত্ব পালন করে।
প্যালেস্তাইনে চলমান সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে গাজায় ৪০,০০০-এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ১৫,০০০ শিশু। হাসপাতাল, স্কুল এবং আশ্রয়কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে। ত্রাণবাহী জাহাজ এবং ট্রাক বারবার ইজরায়েলি বাহিনীর দ্বারা আটকানো হচ্ছে। এসএফআই-এর দাবি, ভারত যেন রাষ্ট্রসংঘের মাধ্যমে ত্রাণ পাঠায় এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে প্যালেস্তাইনের পক্ষে কথা বলে। তারা বলেছে, “ভারতের নৈতিক দায়িত্ব প্যালেস্তাইনের জনগণের পাশে থাকা।”
এই চিঠির পর সরকারের প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি। তবে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় এর আগে প্যালেস্তাইনে সহায়তা পাঠিয়েছে, যেমন ২০২৪ সালে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-তে ৫ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য। এসএফআই-এর এই উদ্যোগ ভারতের ছাত্র আন্দোলনকে নতুন মাত্রা দিয়েছে এবং প্যালেস্তাইন ইস্যুতে দেশের অবস্থানকে আবারও আলোচনায় এনেছে। বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের মধ্যে ভারতের ভূমিকা কী হবে, তা এখন দেখার বিষয়।