BJP: সায়ন্তনের ‘বাম শিবির মূল বিরোধী’ তত্ত্বে সমর্থন পুরনো বিজেপি নেতাদের

বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ফাটল ধরতে শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপির (BJP) অন্দরে। এরই মধ্যে সায়ন্তন বসুর বিস্ফোরক চিঠি বঙ্গ বিজেপির অন্দরে বারুদের মতো কাজ করেছে।…

sayantan basu

বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ফাটল ধরতে শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপির (BJP) অন্দরে। এরই মধ্যে সায়ন্তন বসুর বিস্ফোরক চিঠি বঙ্গ বিজেপির অন্দরে বারুদের মতো কাজ করেছে। আদি বনাম নব্যের দ্বন্দ্বে সায়ন্তনের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন পুরাতন শিবিরের নেতারা। বঙ্গ বিজেপির এই করুন অবস্থা অন্যান্যদের কাজ আরও সহজ করে তুলছে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, সায়ন্তনকে সমর্থন করে নাড্ডার কাছে মেইল করেছেন বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ।

গত বছরেই দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। তারপর থেকে রাজ্য কমিটি ও জেলা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিজেপি অন্দরে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। এমনকি এবিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন অনুপম হাজরা, সৌমিত্র খাঁ সহ অন্যান্য নেতারাও। এখন সায়ন্ত বসুর তরফে নাড্ডাকে দেওয়া চিঠিতে অনেকটাই একমত হয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

পুরাতন হয়ে নয়া রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়তেই সরব হয়েছেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। সায়ন্তন বসুর পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সায়ন্তন বসুর সমর্থনে তিনি বলেন, অভিজ্ঞ নেতা সায়ন্তন দা। সারা বাংলায় পার্টির কাজ করেছেন। পার্টির ভালর জন্যসই নিশ্চয় পরামর্শ দিয়েছেন। দলের আস্থাভাজন নেতাদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন বিজেপির পুরাতন নেতারা।

দীর্ঘ সময় ধরে দলের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াইয়ের কারণে দূরে সরে থেকেছিলেন দুধকুমার মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর বীরভূম জেলায় দাপট বাড়াতে অক্ষম হয়েছে বিজেপি। দল সায়ন্তন বসুর কথা ভাববে। একথা জানিয়েছেন তিনি। আবার অনেকের মতে, একটা সময় যারা দলের কর্মীদের মারধর করেছিল এখন তাঁরা এসেই ছড়ি ঘোরাচ্ছে।

সূত্রের খবর, দলের অন্দরে যে চিড় ধরেছে তা ফাটলে পরিণত হওয়ার আগেই মেরামত করতে চাইছেন দলের নেতারা। তাই দ্রুত বিক্ষুব্ধদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতৃত্বদের ওপর ভরসা রেখেছেন সৌমিত্র খাঁয়ের মতো নেতারা। আগামী দিনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে তাঁকে নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।

যদিও বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপি এসেছেন শুভেন্দু। কিন্তু দলে তাঁরা গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সায়ন্তন বসুর চিঠি কাদের উদ্দেশ্যে ছিল? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।