পুজো শুরুর আগেই সন্তোষ মিত্রতে নিরঞ্জনের বার্তা সজলের

কলকাতা ২৭ সেপ্টেম্বর: কলকাতার এই মুহূর্তের সবচেয়ে আকর্ষণীয় থিম পুজো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার কি বন্ধের মুখে? (Durga Puja 2025)তেমনই বার্তা দিয়েছেন এই পুজোর কর্মকর্তা বিজেপি…

Durga Puja 2025

কলকাতা ২৭ সেপ্টেম্বর: কলকাতার এই মুহূর্তের সবচেয়ে আকর্ষণীয় থিম পুজো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার কি বন্ধের মুখে? (Durga Puja 2025)তেমনই বার্তা দিয়েছেন এই পুজোর কর্মকর্তা বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন এই পুজোর অডিও ভিজ্যুয়াল থিম পহেলগাঁও হত্যাকান্ড এবং অপারেশন সিঁদুর বন্ধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে কলকাতা পুলিশ।

Advertisements

আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন পুলিশ যদি আপত্তি করে তাহলে আমরা ঠাকুরের মুখ কালো কাপড়ে ঢেকে দেব। তার সাথে পুজো শুরুর আগেই দেবীর বিসর্জন হয়ে যাবে। সজল ঘোষ অভিযোগ করেছেন পুলিশ পুজো কমিটিকে হুমকি দিয়েছে এই ভাবে পুজো চালানো যাবে না। তার পরিবর্তে সজল বলেন এই প্যান্ডেলের আকর্ষণই হল অপারেশন সিঁদুর থিম এবং এর অডিও ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টরি।

   

সেটাই যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় তবে মানুষ হেঁটে নয় নেটে দেখুক এই প্যান্ডেল। রাজ্যের প্রধান বিরোধীরা স্বভাবতই তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এই ঘটনায়। তাদের মতে পুলিশ ইচ্ছে করে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে এই পুজো বন্ধ করতে চাইছে। তারা তাদের প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট বলেছেন মমতার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আপত্তি আছে এবং তিনি বরাবরই এই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এসেছেন।

এই থিমে অপারেশন সিঁদুরের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তা নিয়ে অস্বস্তির কারণেই এই পুজো ভেস্তে দিতে চাইছে পুলিশ এমনটাই অভিজ করেছেন সজল। যিনি বলেন আমরা যেমন নরেন্দ্র মোদীকে দেখিয়েছি তেমন কর্নেল সোফিয়া কুরেশীকেও দেখিয়েছি। আমরা তৃণমূলের মত পুজো নিয়ে রাজনীতি করিনা।

সজল বলেন প্রত্যেকদিন ভোরবেলা যে মাইক চালিয়ে আজান দেওয়া হয় তাতে তো কেউ আপত্তি করে না। তাহলে এই পুজোর থিমের উপর মমতা এবং তার অধীনস্ত পুলিশের কেন এতো আক্রোশ। তবে পুলিশের কথা মেনে আজ পুরো মাঠ ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সজল আরও অভিযোগ করেছেন যে প্রাঙ্গনে মেলার আয়োজন করা হয়েছিল কিন্তু পুলিশ হাতে নয় মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে।

মেরুকরণ না ভোট-শুদ্ধি? বিহার নির্বাচনে বিজেপির ‘উদ্দেশ্য’ স্পষ্ট করলেন অমিত শাহ

তাই মেলাতেও প্রত্যেকটি দোকানের সামনে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। সজলের মতে যে তৃণমূল মেলা খেলা নিয়েই সারাবছর কাটায়। তাতে টাকা ঢালে কিন্তু আমরা মেলা করলে তাতে তৃণমূল পুলিশের কি সমস্যা আছে। তিনি বলেছেন প্রশাসনের সঙ্গে লড়াই করে তো পুজো করা যায়না। আর সবচেয়ে বড় কথা পুজোর থিমে তৃণমূলের আপত্তি তাই আরেকটা চিঠি দিলেই এই পুজো চিরতরে বন্ধ হবে। তবে এই ঘটনায় এখনও বিজেপির বিরোধী দলনেতা কিংবা রাজ্য সভাপতির প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসনের বদান্যতায় এই পুজোর ভবিষ্যৎ যে খুব সুখকর নয় তা এই ঘটনাতেই প্রমান হয়।