নয়াদিল্লি, ২৩ সেপ্টেম্বর: ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি-এসসিপি) প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Power) নির্বাচন কমিশনের কার্যপ্রণালী নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর উত্থাপিত প্রশ্নের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিরোধী দলের নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধী সংসদের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন।
তাই নির্বাচন কমিশনের উচিত তাঁর প্রশ্নের জবাব দেওয়া। কিন্তু বর্তমানে যা ঘটছে তা উদ্বেগজনক—নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে বিজেপি নেতারা, এমনকি মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সহযোগীরা, তাঁর প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন। পাওয়ারের মতে, এটি নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ করছে। তার চেয়েও বড় কথা নির্বাচন কমিশন বিজেপির মুখপাত্রের মত ব্যবহার করছে। যা একদমই বাঞ্চনীয় নয়। শরদ পাওয়ার বলেন, “রাহুল গান্ধী নির্বাচন কমিশনের কার্যপ্রণালী নিয়ে কিছু গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন।
বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তিনি সংসদের একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর প্রশ্নের জবাব নির্বাচন কমিশনের দেওয়া উচিত। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, কমিশন নিজে জবাব না দিয়ে বিজেপি নেতারা, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সহযোগীরা সামনে এসে জবাব দিচ্ছেন। এর অর্থ কী? এর অর্থ হলো, নির্বাচন কমিশনের প্রতি যে আস্থা গড়ে ওঠা উচিত, তা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি, এবং এই ধরনের ঘটনা সেই ভিত্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
পাওয়ারের এই মন্তব্য মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। রাহুল গান্ধী সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা প্রস্তুতি, ইভিএম-এর কার্যকারিতা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, কিছু ক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি এবং ইভিএম-এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে স্পষ্ট জবাব দাবি করেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না এসে বিজেপি নেতাদের সক্রিয় প্রতিক্রিয়া পরিস্থিতিকে জটিল করেছে।
বিজেপি নেতারা রাহুল গান্ধীর অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক প্ররোচনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং দাবি করেছেন যে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর সহযোগীরা রাহুলের অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এটি কংগ্রেসের হতাশার প্রকাশ।
গভীর নিম্নচাপে দিঘায় সতর্কতা, পর্যটক- মৎস্যজীবীদের সতর্ক প্রশাসনের
তবে পাওয়ার মনে করেন, এই ধরনের প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের উচিত নিজে থেকে সব প্রশ্নের জবাব দেওয়া। রাজনৈতিক দলের নেতাদের এই দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়। এটি কমিশনের প্রতি জনগণের ভরসা কমিয়ে দেয়।”

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
