নয়াদিল্লি ৬ অক্টোবর: উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নাগরাকাটা গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি (Bengal Politics) সাংসদ শংকর ঘোষ এবং বিজেপি বিধায়ক খগেন মুর্মু। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে স্থানীয় বাসিন্দারা জুতো দিয়ে পেটাতে শুরু করেন শঙ্করকে। গাড়ির কাছ ভেঙে দেওয়া হয়। সেই কাঁচে মারাত্মক আহত হন খগেন। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে বলেন “যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরা—যাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেন—পশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।”
কবে শহরে আসবেন লাল-হলুদের নয়া বিদেশি?
“আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।” এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং ১০০ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।
তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের উপর অবহেলার অভিযোগ তুলে বলেন, “কেন্দ্র আমাদের সাহায্য করছে না। রাজ্য একাই লড়ছে।” এদিকে, বিজেপি নেতারা ত্রাণ বিতরণের নামে এলাকায় গেলে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন। বিজেপি এই হামলাকে ‘টিএমসির গুন্ডাগিরি’ বলে অভিহিত করেছে।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্যানিক মোডে চলে গেছেন।
তাঁর দলের লোকেরা বিজেপি নেতাদের উপর হামলা করছে।” বিজেপি জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “টিএমসি ক্ষমতায় আসার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। মমতার উদাসীনতা সীমা ছাড়িয়েছে।” তিনি খগেন মুর্মুর আদিবাসী পরিচয়ের উপর জোর দিয়ে বলেন, “এই হামলা আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি মমতার অবমাননার প্রমাণ।”