এবারই প্রথম দিঘায় আয়োজন করা হচ্ছে রথযাত্রা, (Nabanna) যা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, রথযাত্রা(Nabanna) উপলক্ষে দিঘার জগন্নাথ, বলরাম, এবং সুভদ্রার রথের রশি স্পর্শ করার সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষ। এর মাধ্যমে শুধু ধর্মীয় ঐতিহ্যকেই বাঁচানো হবে না, বরং পুণ্যার্থীদের জন্য এটি একটি বিশাল আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা হবে(Nabanna)
বৃহস্পতিবার, নবান্নে রথযাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানান। তিনি বলেন, “আমজনতা যাতে রথের রশি ছুঁতে পারে, সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই উদ্যোগের মাধ্যমে দিঘা রথযাত্রার পরিবেশ আরও প্রাণবন্ত হবে, যেখানে সারা রাজ্যের মানুষ একত্রিত হয়ে অংশ নিতে পারবেন।(Nabanna)
রথের রশি ধরার সুযোগ: এক কিলোমিটার রাস্তা(Nabanna)
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের(Nabanna) সামনে থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে দুটি রথের রশি থাকবে। এর ফলে পুণ্যার্থীরা রথ টানার সঙ্গে সঙ্গেই এই রশি ধরার সুযোগ পাবেন। এই ব্যবস্থা এমনভাবে তৈরি করা হবে যাতে ভক্তদের জন্য কোনও অসুবিধা না হয় এবং তাঁরা উপভোগ করতে পারেন ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি।(Nabanna)
দিঘার রথযাত্রার দিন, সাধারণ (Nabanna) মানুষের এই অভিজ্ঞতা পেতে এক বিশেষ আনন্দ হবে। যেখানে ভক্তরা নিজেদের পবিত্র অনুভূতির সঙ্গে রথের রশি টানতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, তিনি নিজে ২৬ জুন বিকেলে দিঘায় পৌঁছে পরদিন রথের সামনের রাস্তা সোনার ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করবেন এবং রথের রশিতে টান দেবেন।
প্রশাসনিক প্রস্তুতি: নিরাপত্তা ও যানজট নিয়ন্ত্রণ(Nabanna)
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, রথযাত্রা উপলক্ষে প্রশাসন ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ২৬ জুন থেকেই দিঘার যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন(Nabanna) ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে যাতে রথযাত্রার সময় রাস্তার পাশে ভিড়ের চাপ কমানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সোনার ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করা, পুণ্যার্থীদের জন্য উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, এবং যাতায়াতের সুবিধা নিশ্চিত করতে দিঘায় শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে(Nabanna)
এছাড়া, রাজ্য সরকারের তরফে প্রশাসনিক(Nabanna) কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে যে, রথযাত্রায় প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে। বিশেষত, উলটোরথ পর্যন্ত জনসমাগমের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হবে(Nabanna)
মন্দির কমিটির প্রস্তুতি ও সহযোগিত(Nabanna)
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিঘার ইসকন মন্দির, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট এবং অন্যান্য মন্দির কমিটির প্রতিনিধিরা। তারা সকলেই প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে রথযাত্রা আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এতে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা বা বিশৃঙ্খলা যাতে না ঘটে, সেই জন্য পুরোপুরি সহযোগিতা করবেন তারা(Nabanna)
এছাড়া, পুণ্যার্থীদের ভ্রমণ ও যাতায়াতের সুবিধা নিশ্চিত (Nabanna) করতে দিঘায় অস্থায়ী শিবিরের ব্যবস্থা করা হবে। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা, বিশ্রামের জায়গা, এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হবে। প্রশাসন ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য কর্মীদের একটি দলও নিয়োগ করেছে যাতে কোনও ধরনের জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে দ্রুত সাড়া দেওয়া যায়(Nabanna)
পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ(Nabanna)
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রথযাত্রাকে পরিবেশবান্ধব করার উপরেও গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য রথযাত্রার সময় সস্তা ও সুলভ উপকরণ ব্যবহার করতে আহ্বান জানিয়েছেন। একে শুধু ধর্মীয় উৎসব হিসেবেই নয়, বরং একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবেও তিনি দেখছেন, যেখানে পরিবেশের প্রতি সচেতনতা জাগানো হবে।(Nabanna)