পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) মুক্তির দাবিতে ইসলামাবাদে ব্যাপক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশের সঙ্গে ইমরান-সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ছ’জন সরকারি নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশি গুলিতে একাধিক বিক্ষোভকারীও নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। শহরের পরিস্থিতি দিনদিন আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এবং এটি পাকিস্তানের রাজনীতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এক গুরুতর সংকটের সৃষ্টি করেছে।
আদানির বিরুদ্ধে মার্কিন অভিযোগ মিথ্যা, দাবি AGEL-এর
বিক্ষোভকারীরা ইসলামাবাদের বিভিন্ন এলাকায় সমবেত হয়ে ইমরান খানের মুক্তির দাবি জানান। একদিকে ইমরান খানের সমর্থকরা রাস্তা অবরোধ করে এবং প্রতিবাদে অংশ নেয়, অন্যদিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে, কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাতে বাঁধা না দিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে দেয়। একাধিক বিক্ষোভকারী পুলিশের বসানো শিপিং কন্টেনারের ওপর চড়ে বসে প্রতিবাদ জানান।
পুলিশি গুলির মধ্যে অনেক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন এবং এই সংঘর্ষের ফলে সহিংসতা আরও বাড়ছে। ইসলামাবাদে এই পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে, এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা দাবি করছে, ইমরান খানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হোক।
ঐতিহ্যবাহী পোশাকে বেবি বাম্প প্রকাশ্যে আনলেন আথিয়া শেঠি, উচ্ছ্বসিত ভক্তরা
এই সংঘর্ষের পর, পাকিস্তানের অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, তবে বিক্ষোভকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান দৃঢ় করেছে।
ইমরান খানকে গত মাসে অদৃশ্য কারণবশত গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ আনা হয়, যার মধ্যে দুর্নীতি এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। তবে ইমরান খানের সমর্থকরা এই অভিযোগগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করছেন এবং তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি করছেন।
দল বিরোধী মন্তব্যে হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ
ইসলামাবাদের মতো প্রধান শহরের এই অশান্তি পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে। দেশটির সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, তবে বিক্ষোভের তীব্রতা এবং সহিংসতার ফলে তা কতটা সফল হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এই ঘটনাগুলো পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গভীর প্রভাব ফেলবে, এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলি সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সমাজের মধ্যে বিভেদ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।