দলীয় ক্যালেন্ডারে মমতা ও অভিষেকের ছবির বিতর্কে উত্তাল তৃণমূল,রাজ্য নেতৃত্বের কঠোর পদক্ষেপ

নতুন বছরের প্রথম মাসেই তৃণমূল কংগ্রেসে ‘ক্যালেন্ডার-কাণ্ড’ (Calendar Controversy in TMC) নিয়ে আবারও শিবির বিভাজনের বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিষয়টি এসেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক…

New Controversy Erupts Within TMC Over Calendar Issue

নতুন বছরের প্রথম মাসেই তৃণমূল কংগ্রেসে ‘ক্যালেন্ডার-কাণ্ড’ (Calendar Controversy in TMC) নিয়ে আবারও শিবির বিভাজনের বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিষয়টি এসেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে পাঠানো ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে। ওই ক্যালেন্ডারে(Calendar Controversy in TMC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ছবি রয়েছে, তবে অভিষেকের ছবি মমতার ছবির তুলনায় কিছুটা বড়। এই ছবি নিয়েই তৃণমূলের অন্দর মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত, জেলা স্তরের নেতারা এই ক্যালেন্ডারের পরিপ্রেক্ষিতে বিভ্রান্ত এবং বিতর্কিত হয়েছেন।

ক্যালেন্ডার (Calendar Controversy in TMC) বিতরণের পর রাজ্য নেতৃত্বের কাছে খবর যায় যে, কিছু জেলার নেতারা অভিষেকের ছবির আকার বড় দেখছেন। পরবর্তীতে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে একটি নির্দেশনা আসে, যেখানে বলা হয়, কেবলমাত্র মমতার ছবি ব্যবহার করা হবে এবং ক্যালেন্ডারটির নতুন সংস্করণ পাঠানো হবে। তৃণমূলের অনেক জেলা সভাপতি আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, তাদের কাছে একই বার্তা পৌঁছানো হয়েছে। বার্তার সারমর্ম ছিল, ‘দিদি’ নিজের ছবির ব্যবহার না করার জন্য বলেন, তাই এই ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা যাবে না।

   

এদিকে, নতুন নকশায় প্রস্তুত হওয়া ক্যালেন্ডারে দেখা যায়, অভিষেকের ছবি আগের তুলনায় ছোট করা হয়েছে। মমতার ছবির তুলনায় এটি কিছুটা ছোট হলেও, আগের ক্যালেন্ডারের ছবির তুলনায় এর আকারও কম। জেলা জেলায় এই নতুন ক্যালেন্ডার পাঠানো শুরু হয়েছে, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পরিবর্তন বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

এই ক্যালেন্ডার বিতর্ক তৃণমূলের ভিতরে চলমান শিবির বিভাজনকেই পুনরায় সামনে এনেছে। বিরোধীরা মনে করছেন, শাসকদলের সর্বোচ্চ স্তরের মধ্যে অভিষেকপন্থী এবং মমতাপন্থী নেতাদের মধ্যে এক ধরনের চাপানউতর চলছে। গত কিছু মাসে তৃণমূলের অন্দরমহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাব বাড়ছে বলেও মনে করা হচ্ছে। বিশেষত, অভিষেকের পক্ষের নেতারা কিছুটা পিছিয়ে পড়ার পর, কুণাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসুর মতো নেতারা ‘অভিষেকপন্থী’ অবস্থান থেকে সরে এসে মমতাকে সমর্থন জানিয়েছেন।

এছাড়া, তৃণমূলের কর্মসূচি ও কর্মীদের মধ্যে অভিষেকের কার্যক্রম নিয়ে কিছু সংশয় তৈরি হয়েছে। তাঁকে প্রায়ই ‘ক্যাপ্টেন’ হিসেবে সম্বোধন করতেন কুণাল ও ব্রাত্য, কিন্তু এখন তাঁরা উল্টো অবস্থান নিয়েছেন। রাজ্যসভায় একাধিক সাংসদও অভিষেকের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মমতাকে কিছুটা পিছনে ফেলতে চাইছেন।

এই সমস্ত পরিস্থিতি দলের ভেতরের সংঘাত এবং শিবির বিভাজনকে আরও উসকে দিয়েছে। তবে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে গুরুত্ব বহন করে চলেছেন।