কলকাতা, ২৯ সেপ্টেম্বর: তামিলনাড়ুর করুরে অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বিজয়ের (India Politics) তামিলাগা ভেত্ত্রি কঝগম (টিভিকে) র্যালিতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় ৪১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নতুন মোড় নিয়েছে। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা সোমবার একটি এনডিএ প্রতিনিধিদল গঠন করেছেন, যারা করুর সফর করে ঘটনার পরিস্থিতি যাচাই করবে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট জমা দেবে। এই পদক্ষেপটি তামিলনাড়ু সরকারের এককালীন তদন্ত কমিশনের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে ঘটনার তদন্তের দাবিকে শক্তিশালী করেছে।
২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার করুরের ভেলুসামিয়াপুরমে টিভিকে-র নেতা বিজয়ের র্যালিতে পদপিষ্ট হয়ে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ১৭ জন মহিলা এবং ৯ জন শিশু রয়েছে। আরও ৮০-এর বেশি লোক আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আয়োজকরা ১০,০০০ লোকের জন্য অনুমতি চেয়েছিল, কিন্তু প্রায় ২৭,০০০ সমর্থক জড়ো হয়।
বিজয়ের বাসের দিকে ভিড় বাড়তেই সকাল ৪টে থেকে উত্তেজনা শুরু হয় এবং বিজয় ৭টায় স্থানে পৌঁছালে কন্ট্রোল হারিয়ে যায়। কয়েকজন গাছ বেয়ে উঠে পড়ে যাওয়ায় আরও ক্ষয়ক্ষতি হয়। তামিলনাড়ু পুলিশের মতে, ৫০০-এর বেশি পুলিশ কর্মী ছিল, কিন্তু ভিড় ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি হয়েছে। জে পি নাড্ডা তার এক্স পোস্টে বলেছেন, “করুরের ট্র্যাজিক স্ট্যাম্পেডে প্রাণ হারানোদের জন্য গভীর দুঃখিত।
এনডিএ প্রতিনিধিদল গঠন করেছি, যারা ঘটনার কারণ তদন্ত করবে, পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করবে এবং দ্রুত রিপোর্ট দেবে।” প্রতিনিধিদলে বিজেপির তামিলনাড়ু সভাপতি কে অন্নামালাই, এমপি অন্ন পবনা কুমার, এমপি সি আর নারায়ণস্বামী এবং এনডিএ সহযোগী দলের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। তারা মঙ্গলবার করুর যাবেন এবং স্থানীয় সরকারি হাসপাতাল, ঘটনাস্থল এবং নিহতদের বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন। রিপোর্টটি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দেওয়া হবে, যা রাজ্য সরকারের কাছে পেশ করা হতে পারে।
তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন ১০ লক্ষ টাকা করে নিহত পরিবারকে এবং ১ লক্ষ টাকা করে আহতদের জন্য সাহায্য ঘোষণা করেছেন। তিনি রিটায়ার্ড মাদ্রাস হাইকোর্টের জজ জাস্টিস আরুনা জগদীশনের নেতৃত্বে এককালীন তদন্ত কমিশন গঠন করেছেন, যিনি ২৮ সেপ্টেম্বর ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। কমিশনের রিপোর্ট তিন মাসের মধ্যে আসবে।
কলকাতার ১৩টি মণ্ডপে দেবীর সোনার গয়নার পাহারায় বিশেষ ব্যবস্থা লালবাজারের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী জাতীয় তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা করে নিহত পরিবার এবং ৫০ হাজার টাকা করে আহতদের জন্য ঘোষণা করেছেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি সি পি রাধাকৃষ্ণন এবং ইউনিয়ন হোম মিনিস্টার অমিত শাহও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শাহ গভর্নর আর এন রাভি এবং স্ট্যালিনের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।