পচা তৃণমূল এবার ত্যাগ করবেন সাংসদ জওহর সরকার!

দুর্নীতিতে জড়িত একের এক তৃণমূল নেতা। যা রীতিমতো শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে৷ দলের অন্দরে এ নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ…

দুর্নীতিতে জড়িত একের এক তৃণমূল নেতা। যা রীতিমতো শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে৷ দলের অন্দরে এ নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ জওহর সরকার৷ এখনই বর্জন না করে, তবে এক সাইড পচা শরীর নিয়ে ২০২৪ সালে লড়াই করা মুশকিল! এই বক্তব্য বলে জল্পনা বাড়িয়েছেন তিনি।

একসময় বাম আমলে সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন৷ পরে কেন্দ্র সরকারের তথ্য ও সম্প্রচারের সচিব ছিলেন তিনি৷ কর্মজীবন ছেড়ে তুমুল সমালোচনা করেন মোদী সরকারের। রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তাঁকে বেছে নেয় তখন সকলেই ভেবেছিলেন এটা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মাস্টার স্ট্রোক। কিন্তু সময় বদলে শাসক দলের কর্মকান্ডে মানুষ বেজায় অস্বস্তিতে৷

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে বলেন, ঘটনাটা যখন দেখলাম তখন বিশ্বাস করতে পারিনি। কারও বাড়ি থেকে এত টাকা বেরোতে পারে ভাবতে পারিনি। পার্থবাবুকে তো শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে দেখেছি। কথাও বলেছি অনেক বার। টিভিতে দেখে আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ও রকম ভদ্রলোকের ইমেজ! তিনি কার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন, তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু দুর্নীতির টাকা দিয়ে তাঁকে অলঙ্কৃত করা। এটা দেখলে কী রকম গা শিরশির করে।

যদিও এর পরেও তাঁর ধারণা ২৪ এর নির্বাচনে মোদী বিরোধী মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মানুষ এখনও বিশ্বাস করে, ভদ্রমহিলা লড়ে দেখাতে পারবেন। আমি এখনও বিশ্বাস করি, উনি পারবেন। যদিও কখনও মনে হয় পারবেন না, আমার আর থাকার দরকার নেই। আমি তো রাজনীতি করতে আসিনি। মনে করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলতে চলেছেন তিনি।

শেষ অবধি মমতার ওপর আশ্বাস রেখে জওহর সরকার বলেন, আমার এক মাত্র টার্গেট হল এই স্বৈরাচারী শক্তি। এই আদর্শটির সঙ্গে মিলিয়ে দেখছি। যে আর্দশ মেনে চলবে, তার সঙ্গে থাকতে রাজি আছি। তাঁর সাফ বক্তব্য, রাজনৈতিক দলের মোহর লাগিয়ে যত ইচ্ছা টাকা বানাবো, বান্ধবীর নামে ফ্ল্যাট বানাবো, গাড়ির পরে গাড়ি কিনব, এগুলো মানতে পারছি না৷