মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোনও আক্রমণ নেই। বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP) ঝিমিয়ে আছে। এমনই রিপোর্ট অনেক আগেই সংঘ পরিবার তৈরি করেছিল। রাজনৈতিক মহলের আলোচনা, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঝিমুনি কাটাতে উত্তেজক বড়ি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঘনঘন আসবেন মোদী ও অমিত শাহ। জুনেই শুরু হবে বড়ি গেলানো। আসছেন মোদী। তারপর শাহ।
বিজেপি রাজ্য কমিটির সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৯ মে আলিপুরদুয়ারে জনসভা ও প্রশাসনিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর দু’দিন পর, ৩১ মে রাতে কলকাতায় পা রাখতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১ জুন শাহ একাধিক বৈঠক করবেন।
মোদী কেন আলিপুরদুয়ারে?
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের আদিবাসী নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আলিপুরদুয়ারসহ ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকায় বার্লার মতো বড়সড় জনসংযোগকারী নেতা বিজেপিতে নেই। ঠারেঠোরে এমনই জানিয়েছেন দলটির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ও সংঘের সংগঠক দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন জন বার্লার সঙ্গে লোক আছে। তিনি কেন দল ছাড়লেন তা দলকে দেখতে হবে।

এদিকে জানা যাচ্ছে, বার্লার পথ নিতে পারেন উত্তরবঙ্গের আরও কয়েকজন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা। কারণ তারা দলীয় সাংগঠনিক কর্মপদ্ধতিতে তিতিবিরক্ত। বিজেপিতে থাকলে রাজনৈতিক কেরিয়ারে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করছেন তারা। এমন নেতাদের স্বাভাবিক গন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভোট ব্যাংকে ধসের আশঙ্কা।
পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত মোদীকে আলিপুরদুয়ারে আনছে বঙ্গ বিজেপি। লক্ষ্য সংগঠন ও সমর্থকদের চাগিয়ে তোলা। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের অনেকেই মনে করেন, আগের মতো মোদী হাওয়া যেমন নেই তেমন মোদীর বিকল্প কোনো নেতা দেশের অন্যত্র বিরোধীদের মধ্যে নেই। তবে পশ্চিমবঙ্গে মমতা আছেন। তিনি মোদীর সঙ্গে টক্কর নিতে পারেন।
শাহ সফর
বিজেপি সূত্রে খবর মোদীর পরেই আসবেন অমিত শাহ। তিনি সাংগঠনিক সভার উপর জোর দেবেন। আগামী রাজ্য সভাপতির নাম নিয়ে আলোচনা করার সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষকে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়ার প্রশ্নে বঙ্গ বিজেপিতে বিতর্ক আছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, ১ জুন কলকাতায় অমিত শাহ সায়েন্স সিটিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। দলীয় সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সাংগঠনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবেন। রাজনৈতিক কটাক্ষ রুদ্ধদ্বার বৈঠকেই তিনি উত্তেজক বড়ি গেলাবেন।