শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর মোড়। জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ফের নতুন মামলায় নাম জড়াল রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি এবং নদিয়ার নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের (Manik bhattacharya) । এবার অভিযোগ উঠেছে কোচবিহার জেলার(Manik bhattacharya) মাথাভাঙা থানার এক মামলায়, যেখানে এক চাকরিপ্রার্থীকে ১৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
নতুন অভিযোগে মানিকের না(Manik bhattacharya)
সূত্রের খবর, মাথাভাঙার এক শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা (Manik bhattacharya) একজন চাকরিপ্রার্থীকে অনলাইনে টাকা নিয়ে প্রাথমিক(Manik bhattacharya) বিদ্যালয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। টাকা নেওয়ার পর ওই প্রার্থীর হাতে একটি নথি তুলে (Manik bhattacharya) তাঁকে মানিক ভট্টাচার্যের (Manik bhattacharya) সঙ্গে দেখা করতে কলকাতা যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অভিযোগকারী দাবি করেছেন, অভিযুক্ত শিক্ষক দম্পতি মানিকের ঘনিষ্ঠ এবং এই চক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
প্রথমে মাথাভাঙা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ(Manik bhattacharya) এফআইআর নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে মামলাকারী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ পুলিশের বিরুদ্ধে তিরস্কার করেন এবং তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট চেয়ে আগামী শুনানির দিন ধার্য করেন।
আদালতের নজরে তদন্(Manik bhattacharya)
বিচারপতি বসুর এজলাসে মামলাটি ওঠার পর(Manik bhattacharya) আদালতে শিক্ষক দম্পতির সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীর কথোপকথনের নথি পেশ করা হয়, যেখানে মানিক ভট্টাচার্যের(Manik bhattacharya) নাম সরাসরি উল্লেখ রয়েছে। মানিক নিজেই এই মামলায় আদালতে হাজির হয়ে নিজের হয়ে সওয়াল করেন এবং অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁর কোনও রকম যোগসূত্র থাকার কথা অস্বীকার করেন।
মামলাকারীর আবেদন, যাতে এই ঘটনার নিরপেক্ষ (Manik bhattacharya) ও স্বাধীন তদন্ত হয়, সেই জন্য আদালত সিবিআই বা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
ইডি মামলায় অব্যাহতির আবেদন(Manik bhattacharya)
এই নতুন মামলার পাশাপাশি, মানিক ভট্টাচার্য(Manik bhattacharya) এবং তাঁর পরিবার ইডি-র দায়ের করা প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মূল মামলাটি থেকেও অব্যাহতির জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এর আগে নিম্ন আদালত তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এবার সেই(Manik bhattacharya) সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছেন মানিক, তাঁর স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য।
তাঁদের যুক্তি, ইডির দায়ের করা মামলা ভিত্তিহীন, এবং তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ নেই। তাই সেই মামলা থেকে স্থায়ী অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে।(Manik bhattacharya)
পুরনো মামলা, নতুন চাপে মানিক(Manik bhattacharya)
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর মানিক ভট্টাচার্যকে ইডি গ্রেপ্তার করে। প্রায় ২৩ মাস জেলে থাকার পর গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। তার পর থেকেই কিছুটা আড়ালে থাকলেও, আবারও তাঁর নাম নতুন করে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় জড়ানোয় ফের চাপে পড়েছেন মানিক ও(Manik bhattacharya) তাঁর পরিবার।