নবান্ন আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata) বন্যা এবং বন্যা কবলিত এলাকা গুলির সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেন এ বছর বর্ষা তাড়াতাড়ি আসায় সমস্যা বেড়েছে। তিনি আরও বলেন বর্ষা এবার অনেক বেশি কিন্তু ডিভিসি, পাঞ্চেত এবং মাইথন কারুর কথা না শুনে জল ছেড়ে দিচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে কেন্দ্রকে সরাসরি দোষারোপ করে বলেন কেন্দ্র এ ব্যাপারে নীরব কেন।
মমতা বলেন সবচেয়ে দুঃখজনক হলেও বাস্তব এবছর সাতাশ হাজার লক্ষ কিউবিক মিটার জল ছাড়া হয়েছে ডিভিসি তরফ থেকে। মমতা অভিযোগ করেছেন যে সরকার ১৫ বছর ধরে লড়াই করছে। বহুবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও এই সমস্যার সমাধান হয়নি। তিনি আরও বলেছেন যে নীতি আয়োগের অনুষ্ঠানেও বার বার বলা সত্ত্বেও কেন্দ্র বাংলার ব্যাপারে উদাসীন।
তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্র বন্যা ত্রাণের জন্য কোনো আর্থিক সহায়তা দেয়নি, যার ফলে রাজ্যকে নিজস্ব তহবিল থেকে ত্রাণ চালাতে হচ্ছে। বন্যায় প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এবং ২.৫ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি ধ্বংস হয়েছে। মমতা বলেন, “ডিভিসি আমাদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই জল ছেড়েছে। এর দায় কেন্দ্রের।”
মমতা প্রশ্ন করেছেন যে অসম বন্যাত্রাণ পায় এবং তার সাথে সাথে অন্যান্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও পাচ্ছে কিন্তু বাংলা কেন বঞ্চিত। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন কেন্দ্র রাজ্যকে পরিষেবা না দিয়ে নিজেদের পরিষেবা দিচ্ছে। বিজেপির শুধু ভোটের দরকার। মমতা এই বৈঠকে সমস্ত উচ্চ পদস্থ কর্মচারীদের ২৪ ঘন্টা সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন দরকার হলে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করতে হবে। মমতা সতর্ক করেছেন বন্যায় সাপের উপদ্রব বাড়তে পারে। তাই স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এন্টি ভেনম রাখতে হবে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে যে তারা ইতিমধ্যে ১৫,০০০ বন্যা ত্রাণ শিবির খুলেছে এবং প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছে।
বাজার থেকে বিদায় নিল Bajaj Pulsar N150, অফিসিয়ালি বন্ধ হল উৎপাদন
মমতা হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া মেদিনীপুরের দায়িত্বে থাকা সরকারি আধিকারিকদের বলেন এই জায়গা গুলি বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাই এই জায়গাগুলির উপরে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।