কলকাতা ৬ অক্টোবর: উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে (Bengal Politics) দেখতে নাগরাকাটা গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি সাংসদ শংকর ঘোষ এবং বিজেপি বিধায়ক খগেন মুর্মু। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে স্থানীয় বাসিন্দারা জুতো দিয়ে পেটাতে শুরু করেন শঙ্করকে। গাড়ির কাছ ভেঙে দেওয়া হয়। সেই কাঁচে মারাত্মক আহত হন খগেন। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এবার মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন “আমি চাইনা কোথাও আইন শৃঙ্খলার অবমাননা হোক। চাইনা হিংসা। আমি চেয়েছিলাম সবাই একসাথে মানুষের পাশে দাঁড়াব। কিন্তু রাজনীতি করতে এলে মানুষ তার জবাব দেবে যা আজ দিয়েছে। মমতার এই বক্তব্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।”
“গাজা বাঁচাও!” করাচিতে জনতার প্রতিবাদ, ইজরায়েল-পাকিস্তান বিচ্ছেদের ডাক
নগরকাটায় বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের সময় মমতা সাংবাদিকদের বলেন, “আমি চাই না কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবমাননা হোক। আমি হিংসা চাই না। আমি চেয়েছিলাম, সবাই একসঙ্গে মানুষের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু রাজনীতি করতে এলে মানুষ তার জবাব দেবে, যা আজ দিয়েছে।” মমতার এই বক্তব্য রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, “বিজেপি নেতারা ত্রাণের নামে ফটো তুলতে এসেছিল।
মানুষের ক্ষোভ স্বাভাবিক। আমরা দুর্গতদের জন্য কাজ করছি, কিন্তু কেন্দ্র কোনও সাহায্য করছে না।”উত্তরবঙ্গে গত ৪-৫ অক্টোবরের ভারী বর্ষণে তিস্তা ও জলধাকা নদী উচ্ছাসিত হয়ে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস সৃষ্টি করেছে। কমপক্ষে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ বাস্তুহারা।
মমতা এই পরিস্থিতিকে “মানুষের তৈরি বিপর্যয়” বলে অভিহিত করে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন। তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য মমতার বক্তব্যের সমর্থনে বলেন, “বিজেপি ত্রাণের নামে রাজনীতি করতে গিয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছে। উত্তরবঙ্গের মানুষ বারবার বিজেপিকে ভোট দিয়েও কিছু পায়নি।”
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, “বিজেপি নেতারা মমতা দিদির বিরুদ্ধে মানুষকে উস্কানি দিতে গিয়ে মার খেয়েছে।” স্থানীয়রা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। একজন বলেন, “বিজেপি এসে সমালোচনা শুরু করেছিল, ত্রাণের কথা বলেনি।” অন্যজন বলেন, “মমতা দিদি সান্ত্বনা দিয়েছেন, কিন্তু আরও সাহায্য দরকার।”