ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আবারও শপথ নিতে চলেছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতা হেমন্ত সরেন। আগামী বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, রাঁচিতে হবে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
শপথ গ্রহণে আমন্ত্রণ হেমন্ত সরেনের
হেমন্ত সরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয় সরাসরি। মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোন করেন হেমন্ত সরেন। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবারই ঝটিকা সফরে রাঁচি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সময়সূচি
হেমন্ত সরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটেয়। অনুষ্ঠানটি হবে রাঁচির মোড়াবাদি ময়দানে। জানা গেছে, ঝাড়খণ্ডের নতুন মন্ত্রিসভাও একই দিনে গঠিত হতে পারে। এই অনুষ্ঠানে দেশের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
মমতার ব্যস্ত সফরসূচি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর হবে এক দিনের ঝটিকা। বৃহস্পতিবার সকালেই রাঁচি রওনা হবেন তিনি। দুপুরে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর, একই দিন সন্ধ্যায় কলকাতায় ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
মমতার এই সফরকে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। হেমন্ত সরেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই একে অপরের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের ক্ষেত্রে মমতা এবং হেমন্ত সরেন উভয়েরই ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়
ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সরেনের নেতৃত্বে জেএমএম এবং তার জোট শরিকরা সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিশাল জয়লাভ করেছে। তাদের এই জয়ের ফলে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি রাজ্যটিতে ক্ষমতায় ফিরেছে।
হেমন্ত সরেনের এই শপথ গ্রহণের পর ঝাড়খণ্ডে কীভাবে প্রশাসন পরিচালিত হয় এবং নতুন সরকার কীভাবে রাজ্যের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করে, তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সবাই।
মমতা-হেমন্ত সম্পর্কের গুরুত্ব
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হেমন্ত সরেনের মধ্যে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক রয়েছে। একাধিক জাতীয় ইস্যুতে তাঁরা একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ঝাড়খণ্ডের এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতার যোগদান শুধুমাত্র সৌজন্যমূলক নয়, বরং কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী একতার বার্তা বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাঁচি সফর এবং হেমন্ত সরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুধুমাত্র একটি রাজ্য পর্যায়ের রাজনৈতিক কার্যক্রম নয়। এটি দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মমতার উপস্থিতি দুই রাজ্যের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে সহায়তা করবে বলেই ধারণা করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে, হেমন্ত সরেনের নেতৃত্বাধীন সরকার কীভাবে ঝাড়খণ্ডের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন রাজ্যের জনগণ।