Mamata Banerjee: লোভ ছেড়ে সংগঠনে জোর দেওয়ার নিদান মমতার

একাধিক দুর্নীতিতে একের পর এক নাম জড়িয়েছে দলের প্রথম সারির হেভিওয়েট নেতাদের। অন্যদিকে জেলাজুড়ে দলের গোষ্ঠী কোন্দল আরও অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসক দলের। এই পরিস্থিতিতে দলের…

mamata banerjee in bardhaman

একাধিক দুর্নীতিতে একের পর এক নাম জড়িয়েছে দলের প্রথম সারির হেভিওয়েট নেতাদের। অন্যদিকে জেলাজুড়ে দলের গোষ্ঠী কোন্দল আরও অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসক দলের। এই পরিস্থিতিতে দলের হাল শক্ত করে ধরতে, বুধবার কৃষ্ণনগরের সভা থেকে মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। দলীয় নেতাদের সাফ বার্তা দিলেন ,’লোভ করবেন না, সংগঠনে জোর দিন’। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে তাহলে শুধরে নেওয়া হবে’।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন,’লোভ করে টাকা করে কী করবেন? দেখবেন সেই টাকা অন্য কেউ খেয়ে গেছে’। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ইডি-সিবিআই দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করা হচ্ছে। এমনকি তিনি এটাও দাবি করেছেন,”আগে থেকে একটা মিডিয়াকে জানিয়ে পরের দিনই কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির বাড়িতেই সিবিআই চলে যাচ্ছে। পরে দেখা যাচ্ছে সে দোষীই নয়। কিন্তু দাগ লেগে যাচ্ছে’। তিনি আরও বলেন,’ আগে থেকে মিডিয়া ট্রায়াল করে দেওয়া হচ্ছে। আমি চাই এটা রুখে দিতে’।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর আগে নদিয়া জেলার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে জেল হেফাজতে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। পার্থ এবং মানিকের সম্পত্তির বহর দেখে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গ টেনে মুখে উল্লেখ না করে, লোভ ছেড়ে সংগঠনের দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। 

জেলার বিধায়কদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’ এমএলএ যাঁরা আছেন নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবেন না। আর কেউ করলে তাকে আমি পার্টিতে স্থান দেব না। যাঁরা পঞ্চায়েতে আছেন, ব্লকে,জেলা পরিষদে আছেন তাদেরকে নিশানা করে তিনি প্রশ্ন করেন,” কে বড় হনু আমি না মানুষ?” তিনি‌ আরও বলেন, মানুষ না থাকলে তিনি শূন্য। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “রোজ তৃণমূলের প্রতীককে আমি নমস্কার করি। যার ইগো থাকবে বাড়িতে বসে যান। কাজ করার দরকার নেই। কলকাতার সঙ্গে কার যোগাযোগ আছে আপনার জানার দরকার নেই। আমরা মাঠে খুঁজে নেব তাঁকে”।

দল যে অভ্যন্তরীণ কোন দলে জড়িয়ে পড়েছে তা স্পষ্ট। দলের মধ্যে যে ভাঙন ধরেছে, তা আন্দাজ করতে পেরেই এই মন্তব্য করেন মমতা। একইসঙ্গে বিধায়ক ও সাংসদদের নিয়ে একটি কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করেন তিনি। বিধায়কদের উদ্দেশ্যে সাফ বার্তা,’ তৃণমূল কংগ্রেস একটি পরিবার। এটাকে ভাঙা যাবে না’।