দেউচা পচামিতে তৈরী হচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা শিল্প। আগামী ১০০ বছর আর বিদ্যুতের অভাব হবেনা বাংলায় এমনটাই ঘোষণা করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি আরো বলেন বাম আমলে লোডশেডিং ছিল নিত্যসঙ্গী কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সেই সমস্যা মিটে গেছে। এই কয়লাশিল্প হলে বিদ্যুৎ আরো সস্তা হবে বলেও তিনি এদিন জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন অনেক মানুষ হোমগার্ডের চাকরি পেয়েছেন, আদিবাসীরা বাড়িও পেয়েছেন। যারা যারা জমি দিয়েছে তাদের টাকা এবং পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। আগামী সময়ে আরো জমির দরকার হবে, তাতে যারা জমি দেবেন তারা টাকা, বাড়ি পাবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই কয়লাশিল্পের মূল উদ্দেশ হলো আগামী প্রজন্মের কর্মসংস্থান এবং লোডশেডিংয়ের সমস্যার সমাধান করা, যাতে বাংলার মানুষ লোডশেডিংয়ের সমস্যায় না ভোগেন। সাম্প্রতিক বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনেও মমতা বলেন তৈরী পরিকাঠামো চাইলে এখনই কাজ শুরু করা যেতে পারে দেউচা পচামিতে। যদিও জমি দাতাদের একাংশের আপত্তি ছিল কয়লাশিল্প হলে পরিবেশের ভারসাম্য থাকবেনা। দেউচা পচামির উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করা মানুষ এবং বন্যপ্রাণী রক্ষায় যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। খনি খননের ফলে বনাঞ্চল এবং জলস্তরের পরিবর্তন হতে পারে, যা কৃষির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে, নদী ও জলাশয়ের দূষণ এবং মাটি ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এমনকি চাকরি ও পুনর্বাসন নিয়েও চিন্তা ছিল সেখানকার মানুষের। ক্ষতিপূরন এবং পুনর্বাসন সঙ্গে চাকরির ব্যাবস্থাও করা হয়েছে তড়িঘড়ি আর তাতেই গত ৬ ফেব্রুয়ারী ভিত পুজো হয় দেউচা পচামিতে।
দেউচা পচামি কয়লা খনি প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো ৬৫ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন করা প্রতি বছর। এই খনির মাধ্যমে ভারতীয় কয়লা খনির প্রয়োজনের একটি বড় অংশ পূরণ হতে পারে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং শিল্পক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এই কয়লা খনি দেশের শক্তির খাতের ঘাটতি কমাতে সাহায্য করবে, ফলে ভারত তার শক্তির চাহিদা পূরণে আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে। বিশ্ব বাণিজ্য মেলাতেও মুখ্যমন্ত্রী পরবর্তী প্রজন্মের কথা তুলে ধরেন। তুলে ধরেন কর্মসংস্থানের সুযোগের কথা। এই কয়লাশিল্প প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যুবসমাজের কর্মসংস্থানের পরিপন্থী হবে তা বলাই যায়।