সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) (SSC) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি – এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই (SSC) কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন লুবানা পারভিন নামে এক আবেদনকারী। মামলাটি গ্রহণ করেছে হাই কোর্ট,(SSC) এবং আগামী ৫ জুন এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এসএসসি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই(SSC) ২৬ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করেছে এবং নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট(SSC) সময়সীমার মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই নির্দেশ অনুযায়ী গত শুক্রবার এসএসসি (SSC) একটি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যেখানে প্রায় ৪৪ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।(SSC)
নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মূল পরিবর্তনসমূহ:(SSC)
নতুন বিজ্ঞপ্তির সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হল পরীক্ষার কাঠামো ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে বড় রদবদল। পুরনো বিজ্ঞপ্তিতে যেখানে লিখিত পরীক্ষার জন্য ছিল ৫৫ নম্বর এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য ৩৫ নম্বর, সেখানে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে লিখিত পরীক্ষার নম্বর বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০ এবং শিক্ষাগত(SSC) যোগ্যতার জন্য নম্বর কমিয়ে আনা হয়েছে সর্বোচ্চ ১০-এ।
অন্যদিকে, নতুনভাবে যোগ করা হয়েছে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা (১০ নম্বর) ও ‘লেকচার ডেমোস্ট্রেশন’ বা শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য আরও ১০ নম্বর। অর্থাৎ, মোট ২০ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার জন্য। ইন্টারভিউর জন্য বরাদ্দ আগের মতোই ১০ নম্বরই রাখা হয়েছে(SSC)
মামলার মূল অভিযোগ:
মামলাকারী লুবানা পারভিনের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তার মতে, বিজ্ঞপ্তিতে বয়সের ছাড়, শিক্ষাগত যোগ্যতার(SSC) নম্বর বণ্টন এবং শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন সংক্রান্ত অংশ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী। তিনি এটিকে অবৈধ হিসেবে দাবি করে বিজ্ঞপ্তি বাতিলের আর্জি জানিয়েছেন(SSC)
স্বচ্ছতার নতুন উদ্যোগ:
এসএসসি তাদের বিজ্ঞপ্তিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য কিছু নতুন উদ্যোগ(SSC) নিয়েছে বলেও জানিয়েছে। যেমন, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও ওএমআর শিট সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার ওএমআর শিট কমপক্ষে দুই বছর সংরক্ষিত থাকবে এবং স্ক্যান কপি দশ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হবে। এগুলির কপি কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।(SSC)
তবু বিতর্ক কেন?
যদিও এই উদ্যোগগুলি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার বার্তা (SSC) দেয়, অনেকের দাবি, এতে সুপ্রিম কোর্টের মূল আদেশ ও প্রাথমিক শিক্ষার যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের মূল নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতার নম্বর কমিয়ে অভিজ্ঞতা ও পাঠদানের দক্ষতার উপর বেশি জোর দেওয়ায় অনেক নবীন প্রার্থী বঞ্চিত হতে পারেন বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।(SSC)