কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য (Mahua vs Kalyan) রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। মহুয়া মৈত্র যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দলের (তৃণমূল) নেতাদের বক্তব্যের নিন্দা করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মদন মিত্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান, তখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সোজাসাপ্টা আক্রমণ করেন। শীর্ষ নেতা মহুয়ার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বলেছেন, “আই হেট হার।” এর পর থেকে তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে সম্পর্কের কুচকাচালি প্রকাশ্যে চলে আসে।(Mahua vs Kalyan)
মহুয়ার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং তার প্রতিক্রিয়(Mahua vs Kalyan)
মহুয়া মৈত্র সম্প্রতি এক পোস্টে দাবি (Mahua vs Kalyan) করেছিলেন, গোটা দেশে নারীবিদ্বেষ কোনো একটি রাজনৈতিক দলের সীমানায় আটকে নেই, তবে তৃণমূল অন্যদের থেকে আলাদা। মহুয়ার দাবি ছিল, অন্য দলগুলোর নেতারা নারীবিদ্বেষী মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেও তৃণমূল তা কখনোই(Mahua vs Kalyan) প্রশ্রয় দেয় না। মহুয়ার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের দুই নেতা, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মদন মিত্র প্রকাশ্যে তাদের বিরোধিতা করেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য রাখেন, তা দেশের রাজনীতিতে এক নতুন ধরণের তাপ সৃষ্টি করে।(Mahua vs Kalyan)
কল্যাণের আক্রমণ এবং মহুয়ার প্রতি তীব্র ক্ষো(Mahua vs Kalyan)
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহুয়া মৈত্রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমি নারীবিদ্বেষী নই। নারীদের জন্য সবচেয়ে বেশি কথা বলি। মহুয়া মৈত্র এতটাই নারীবিদ্বেষী যে কৃষ্ণনগর(Mahua vs Kalyan) সংসদীয় এলাকায় ভালো মহিলা কর্মীদের উঠতে দেন না।” এ মন্তব্যের মাধ্যমে কল্যাণ জানিয়ে দেন যে মহুয়া মৈত্র তাঁর চোখে একজন নারীবিদ্বেষী। এরপর ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে গিয়ে কল্যাণ বলেন, “আমি একটি মাত্র নারীর হেটার, মহুয়া মৈত্র…আই হেট হার।” এ মন্তব্যে মহুয়ার রাজনৈতিক জীবন এবং ব্যক্তিগত দিকগুলোরও সমালোচনা করা হয়(Mahua vs Kalyan)
মহুয়া মৈত্রের রাজনীতির সমালোচনা(Mahua vs Kalyan)
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, মহুয়া মৈত্র ২০১১ (Mahua vs Kalyan) সালের আগে কংগ্রেসে ছিলেন এবং তৃণমূলের ভালো সময়ে দলের সদস্য হয়ে সাংসদ হন। এতে তাঁর বিশ্বাস, মহুয়া মৈত্রের মধ্যে তৃণমূলের প্রতি কোনও বাস্তব আনুগত্য নেই, বরং তিনি এক ধরনের সুবিধাবাদী রাজনীতি করেন। কল্যাণের দাবি, “মহুয়া মৈত্রের রাজনীতিতে ‘অনুপ্রবেশ’ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তাঁকে শুধুমাত্র দলের ভালো সময়ে তৃণমূলে নেওয়া হয়েছিল।(Mahua vs Kalyan)
কৃষ্ণনগর এবং কালীগঞ্জে কল্যাণের ভূমিক(Mahua vs Kalyan)
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে আরও একবার মহুয়ার(Mahua vs Kalyan) বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, বিশেষ করে কৃষ্ণনগরের সংসদীয় এলাকা নিয়ে। তিনি বলেন, “মহুয়া মৈত্র সে সময় কালীগঞ্জের উপনির্বাচনের প্রচারে আমাকে যেতে বাধা দিয়েছিলেন, যখন সেই কাজ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজে আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।” এতে বোঝা যায় যে, মহুয়া এবং কল্যাণের মধ্যে একটি ক্ষমতার দ্বন্দ্ব রয়েছে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজে কল্যাণকে সমর্থন করার পরেও মহুয়া তাঁকে বাধা দিয়েছিলেন।(Mahua vs Kalyan)
রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা(Mahua vs Kalyan)
কল্যাণ এবং মহুয়া মৈত্রের মধ্যে এই তীব্র সংঘর্ষ রাজ্য(Mahua vs Kalyan) রাজনীতিতে নতুন তুঙ্গে পৌঁছেছে। যেখানে একদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের সুর ছিল, সেখানে মহুয়া মৈত্র চুপ থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন। তবে, তৃণমূলের শাসকদল কীভাবে এই রাজনৈতিক অশান্তির মোকাবিলা করবে, সেটাই এখন প্রশ্নের বিষয়। বিশেষ করে ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে এই ধরনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব দলের কাছে এক অস্বস্তির কারণ হতে পারে(Mahua vs Kalyan)
রাজনৈতিক সম্পর্কের নতুন সমীকর(Mahua vs Kalyan)
কল্যাণ এবং মহুয়ার সম্পর্কের সমীকরণ তৃণমূলের (Mahua vs Kalyan) অভ্যন্তরে বহুদিন ধরেই আলোচিত। একদিকে মহুয়া মৈত্রের তরুণ এবং আকর্ষণীয় নেতৃত্ব, অন্যদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। এর মধ্যে প্রতিযোগিতা, দ্বন্দ্ব, এবং কখনও কখনও সহযোগিতা তৃণমূলের রাজনীতিতে সুস্পষ্টভাবে দেখা যায়। কিন্তু এখনকার এই তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের অন্দরমহলে নতুন প্রশ্ন তৈরি করেছে।