কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে করা একটি আপত্তিকর (Rahul Gandhi) মন্তব্যের জন্য ঝাড়খণ্ডের চাইবাসার আদালত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে সমন পাঠিয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, যখন এই মন্তব্যটি করা হয়েছিল, তখন অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয়(Rahul Gandhi) সভাপতি, আর রাহুল গান্ধী তখন কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। ২০১৮ সালের ওই মন্তব্যের জন্য মানহানি মামলা দায়ের করা হয়, যার শুনানির অংশ হিসেবে আগামী ৬ আগস্ট রাহুল গান্ধীকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।(Rahul Gandhi)
মামলার মূল ঘটনা কিছুটা এই রকম— ২০১৮ সালে(Rahul Gandhi) রাহুল গান্ধী একটি জনসভায় অমিত শাহকে ‘একজন খুনি’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রশ্ন করেন, কীভাবে একজন খুনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হতে পারে। তিনি বলেন, “একজন খুনিকে বিজেপি সভাপতি হিসেবে মেনে নেওয়া যায় না, এটা (Rahul Gandhi) কংগ্রেসে হতে পারে না।” এই বক্তব্যের ফলে প্রচণ্ড বিতর্ক সৃষ্টি হয় এবং ওই এলাকার বিজেপি নেতা প্রতাপ কুমার ওই মন্তব্যের ভিত্তিতে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেন(Rahul Gandhi)
ঝাড়খণ্ডের চাইবাসা আদালত ওই মামলায় রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তবে রাহুল গান্ধীর আইনজীবী ওই পরোয়ানার বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন জমা দেন, যাতে তাকে গ্রেপ্তার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়। আদালত ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ওপর স্থগিতাদেশ দেয় এবং আগামী ৬ আগস্ট তার শুনানি করার জন্য রাহুলকে হাজির থাকার নির্দেশ দেয়। শুনানির পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত রাহুলকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলেও আদালত সিদ্ধান্ত নেয়।(Rahul Gandhi)
চাইবাসার আদালতের আইনজীবী বিনোদ কুমার সাহু জানান,(Rahul Gandhi) “আমরা আদালতে রাহুল গান্ধীর পক্ষে পিটিশন জমা দিয়েছি। আদালত শুনানি করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে এবং আগামী ৬ আগস্ট রাহুলকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এ পর্যন্ত মামলার বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে।”
এই মামলার মাধ্যমে রাজনৈতিক মহলে আবারো আলোচনা জমে উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিরোধী নেতাকে চাপে রাখার চেষ্টা। অন্যদিকে, বিজেপি শিবির মনে করে, মানহানি মামলা দায়ের করা যথার্থ কারণ হিসেবে, কারন রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্বশীলতা থাকা উচিত এবং কাউকে অবমাননা করার সুযোগ দেওয়া যায় না।(Rahul Gandhi)
রাহুল গান্ধী এই মামলার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত মন্তব্য করেননি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মামলাটি তাঁর রাজনীতির উপর একটি চাপ হিসেবে কাজ করতে পারে। বিশেষ করে, দেশের রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে এই ধরনের মামলাগুলো রাজনীতিকে আরও উসকানোর কাজ করে।(Rahul Gandhi)
২০১৮ সালের ওই মন্তব্য এবং পরবর্তী (Rahul Gandhi) মামলার প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে, রাজনীতির জটিলতা কতটা বেড়েছে এবং আইন-বিচারের মাধ্যমে রাজনৈতিক বিতর্ক কতটুকু নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। পাশাপাশি, এটা স্পষ্ট যে রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যের জন্য তাঁদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আসতে হচ্ছে।(Rahul Gandhi)
মামলার শুনানি আগামী ৬ আগস্ট হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে রাহুল গান্ধী আদালতে উপস্থিত থেকে নিজের পক্ষ রাখতে পারবেন। বিচারিক প্রক্রিয়ার ফলাফল কী হয়, তা রাজনৈতিক মহলে এবং সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। এ ধরনের মামলাগুলো রাজনীতির স্বাভাবিক অংশ হলেও, প্রত্যাশা থাকে যে আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং রাজনৈতিক বিবেক বজায় থাকবে।(Rahul Gandhi)
পরিশেষে, ঝাড়খণ্ডের চাইবাসা আদালতের এই সমন রাজ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগামী দিনে এই মামলার অগ্রগতি রাজনৈতিক পরিবেশকে কিভাবে প্রভাবিত করবে, তা নজর রাখাই সময়ের দাবি।(Rahul Gandhi)