Elon Musk: ট্রাম্পের সঙ্গে তিক্ততা কমাতে মাস্কের সঙ্গে গোপন সাক্ষাৎ ইরানি কূটনীতিকদের

ইরান (Iran) কূটনৈতিক কৌশল হিসেবে ইলন মাস্কের (Elon Musk) সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। একটি মার্কিন (USA) কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপটি ইরান (Iran) এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে…

Elon Musk in a possible step to ease tensions with Donald Trump with Iran

ইরান (Iran) কূটনৈতিক কৌশল হিসেবে ইলন মাস্কের (Elon Musk) সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। একটি মার্কিন (USA) কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপটি ইরান (Iran) এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টার অংশ হতে পারে, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রশাসনের সঙ্গে।  

এলন মাস্কের আল্ট্রা-ফাস্ট ট্র্যাভেলে ৩০ মিনিটে আমেরিকা টু ভারত

   

ইরানের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে ইলন মাস্কের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠকটি এমন সময়ে ঘটেছে যখন ইরান ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে কৌশলগত পদক্ষেপ নিচ্ছে। সূত্রের মতে, ইলন মাস্ককে ট্রাম্পের প্রশাসনে ফেডারেল সরকার সংস্কারের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরানের এই বৈঠকের মাধ্যমে ইলন মাস্কের প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।

মণিপুরে দুই মন্ত্রী ও তিন বিধায়কের বাড়িতে হামলা

ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই অস্থির। ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়ার পর এই সম্পর্ক নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ট্রাম্পের প্রচারের সময় তিনি ইরানের পারমাণবিক চুক্তি পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

ইরান ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চায় এবং বৈঠকের মাধ্যমে ইতিবাচক বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইলন মাস্ক একজন উদ্ভাবক, প্রযুক্তি উদ্যোগপতি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করার জন্য পরিচিত। তার কোম্পানি টেসলা, স্পেসএক্স এবং অন্যান্য প্রকল্পগুলির মাধ্যমে তিনি বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তার করেছেন।

ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নতুন প্রশাসনের নীতি এবং কৌশল সম্পর্কে ইরানের ধারণা তৈরি করতে সহায়ক হতে পারে।

যদিও বৈঠকের সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি প্রযুক্তি, কূটনীতি এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইরান চাইছে তাদের প্রযুক্তি খাতকে প্রসারিত করতে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণ বাড়াতে।

ইলন মাস্কের সঙ্গে এই বৈঠক কেবলমাত্র মার্কিন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি মাধ্যম নয়, বরং ইরানের প্রযুক্তি খাতে নতুন সুযোগ খোঁজারও প্রচেষ্টা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈঠক ইরানের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। তাদের মতে, ইরান এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করছে এবং সম্পর্ক মেরামতের একটি পথ খুঁজছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বৈঠকটিকে ইতিবাচক বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে তারা সতর্ক করেছেন যে, এটি সম্পর্কের উন্নয়নে একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ মাত্র।

ইরানের এই বৈঠক নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এটি পরিষ্কার যে, ইরান কৌশলগতভাবে নিজেদের অবস্থান মজবুত করার চেষ্টা করছে।

Reserve Bank of India: লস্কর-ই-তৈবার নামে বোমা-হুমকি রিজার্ভ ব্যাঙ্কে, চাঞ্চল্য

বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি এখন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের দিকে, কারণ এই সম্পর্ক শুধুমাত্র এই দুটি দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে।

ইলন মাস্কের সঙ্গে ইরানের এই বৈঠক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি শুধুমাত্র প্রযুক্তি এবং কূটনীতির মিলন নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে।

তবে, এই বৈঠকের প্রভাব কতটা গভীর হবে এবং ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের প্রতি কী ধরনের মনোভাব দেখাবে,