কলকাতা ২৯ সেপ্টেম্বর: সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি হিন্দু বিরোধী পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছিল বিতর্ক (Bengal Politics)। তাতে সমর্থন জানিয়েছিলেন ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবির। সেই বিতর্কিত পোস্ট এবং হুমায়ূনের সমর্থনে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। আজ আবারও সেই পোস্টের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন হুমায়ুন। আজ সেই সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট বিতর্কে হুমায়ুন নিজে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন তিনি এই ধরণের মন্তব্য করেননি।
আর তার হুমায়ুন কবির TMC মিনিস্টার বলে কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলও নেই। কিন্তু যে পোস্ট ঘিরে এত বিতৰ্ক সেই পোস্টে দেখা যাচ্ছে কথোপকথন হয়েছে হোয়াটস্যাপএ এবং সেই হোয়াটস্যাপ চ্যাটেই এই হিন্দু বিরোধী মন্তব্যে সমর্থন করেছেন বিধায়ক। তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বলেছেন আমি ধর্মীয় ব্যাপারে দ্বিচারিতা পছন্দ করিনা।
তিনি বলেছেন এই ধরণের কার্যকলাপ নিশ্চই কোনও ষড়যন্ত্র। তিনি এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে স্থির করেছেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন ইতিমধ্যেই সাইবার সেলে তিনি একটি অভিযযোগ দায়ের করেছেন এই মর্মে যে কেউ বা কারা তার নাম দিয়ে মিথ্যে ধর্মীয় এজেন্ডা তৈরী করছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জনৈক ইমাম সংগঠনের গ্ৰুপে একটি হিন্দু বিরোধী পোস্ট ঘিরে তৈরী হয়েছিল চাঞ্চল্য। পোস্টে বলা হয়েছিল “২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে তাদের একবেলা গোবর আর গোমূত্র খেয়ে থাকা উচিত, তাহলে দেশের খাদ্য সমস্যা কমবে।” আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৫ ট্রিলিওন ইকোনমির টার্গেটও পূরণ হবে।” গ্ৰুপে এই পোস্ট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জনৈক আইনজীবী। এবং তার কমেন্টের নিচে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন পুলিশ কর্তা হুমায়ুন কবিরের নাম এবং এই কমেন্টে তার সমর্থন।
আজ হুমায়ুন কবিরের পদক্ষেপে অনেকেই তাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন তার সত্যি আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তবে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন। যে স্ক্রিন শট ভাইরাল হয়েছে সেটি একটি হোয়াটস্যাপ স্ক্রিন শট। তাহলে কিভাবে কেউ তার নাম এবং ছবি দিয়ে নকল হোয়াটস্যাপ একাউন্ট তৈরী করতে পারে।
শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ ঠেকাতে টেলিগ্রাম ও বোটিম অ্যাপ বন্ধের চিন্তা
কিন্তু সিংহভাগ মানুষই হুমায়ূনকে সমর্থন করে বলেছেন হুমায়ুন কবির সমস্ত ধর্মের মানুষকেই শ্রদ্ধা করেন। কিছুতেই তিনি এই ধরণের হিন্দু বিদ্বেষীনা পোস্টে সমর্থন জানাতে পারেন না। তবে হুমায়ূনের আইনি পদক্ষেপ এই ধরণের বিতর্ককে কোন খাতে বয়ে নিয়ে যায় এবং সাইবার সেলের তদন্তে কি উঠে আসে আর সত্যি কারুর হোয়াটস আপ একাউন্ট নকল করা যায় কিনা তা সময়ই বলবে।