কলকাতা থেকে ঝাড়খণ্ডগামী একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা ও সোনা৷ ঝাড়খন্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে আটক করে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনার পিছনে অপারেশন লোটাসের ছায়া দেখতে পাচ্ছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, সরকার ফেলতেই ওই টাকা কলকাতা থেকে ঝাড়খণ্ডে আনা হচ্ছিল৷ বিজেপির দাবি, এটা টাকা হল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস সরকারের দুর্নীতির প্রমাণ।
কিছুদিন আগেই প্রকাশ্য জনসভা থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন মহারাষ্ট্রের পরেই ঝাড়খণ্ড সরকারের বদল হবে। তারপরেই বাংলা। বিরোধী দলনেতার দাবি কি সত্যি হতে চলেছে? জোরালো জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
লক্ষ লক্ষ টাকা সোনা সহ আটক ঝাড়খন্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের তরফে এখনও কিছু জানা যায়নি। কোথা থেকে টাকা এসেছিল। কী কারণে তা ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সবটা জানার চেষ্টা করছে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ৷ পাঁচলা থানায় তিন বিধায়ককে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি বন্ধু তিরকে জানিয়েছেন, এটা বিজেপির স্থায়ী সরকারকে ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা। এর আগেও ঝাড়খন্ডে একই পরিকল্পনা ছিল বিজেপি। শুধুমাত্র সরকার ভাঙতে বিজেপি টাকা দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
যদিও বিষয়টি নিয়ে পাল্টা আক্রমণ বিজেপির৷ ঝাড়খণ্ড বিজেপির সাধারণ সম্পাদক আদিত্য সাহুর কথায়, যখনই এই সরকার ক্ষমতায় আসে তখন দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসে এটা তারই প্রমাণ। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
উল্লেখ্য। শনিবার ঝাড়খণ্ডগামী গাড়ি থেকে উদ্ধার বাণ্ডিল বাণ্ডিল টাকা ও সোনাদানা। হাওড়ার পাঁচলায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে৷ বিপুল পরিমাণ টাকা এল কোথা থেকে? এর পিছনে উদ্দেশ্য কি রয়েছে? তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিন কংগ্রেস বিধায়কের নাম রাজেশ কাশ্যপ, নমন দীক্ষিত এবং ইরফান আনসারী। গাড়ি, টাকা সহ তিন বিধায়কদের পাঁচলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। কী কারণে এত বিপুল টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, কোথা থেকে এত টাকা এলো সবটাই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছেন হাওড়া পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া।