মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবং তাঁর বিশেষ উদ্যোগে রাজ্যজুড়ে (Howrah) শুরু হয়েছে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি। শনিবার থেকেই হাওড়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই কর্মসূচি চালু হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই — সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা সরাসরি শুনে দ্রুত সমাধান খোঁজা। তবে এই প্রকল্পের শুরুতেই মুখোমুখি হতে হল তীব্র জনরোষের।(Howrah)
শনিবার ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে হাওড়ার ডোমজুড় ব্লকের করোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পৌঁছেছিলেন হাওড়ার জেলাশাসক পি দিপাপ প্রিয়া। কিন্তু সেখানে নামতেই তিনি পড়ে যান সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে। বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে ধরেন, শুরু হয় একের পর এক অভিযোগের বন্যা।(Howrah)
কী বলছেন স্থানীয়রা?
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বহু বছর ধরে এলাকায়(Howrah) নিকাশি ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় জল জমে যায়। গাড়ি তো দূর, পায়ে হেঁটেই চলা যায় না ঠিক করে। নর্দমাগুলি উপচে রাস্তায় জল মেশে, ফলে গন্ধে বসবাসই অসম্ভব হয়ে ওঠে। তার উপর রয়েছে পুরনো, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়া পুকুরগুলির সমস্যা। এগুলির জল অপরিষ্কার, চারপাশে আগাছা, মাছচাষ বা অন্য কোনও ব্যবহার নেই। বরং স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে।(Howrah)
প্রতিক্রিয়া
এক মহিলার কথায়, “বছরের পর বছর ধরে এই একই সমস্যা চলে আসছে। (Howrah) কেউ দেখে না, শোনেও না। এখন আবার নতুন কর্মসূচি চালু হয়েছে, তাই আসা হচ্ছে। কিন্তু আমরা চাই ফলাফল। শুধু ছবি তুলে চলে গেলে কিছু হবে না।” এক প্রবীণ বাসিন্দা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এত বছর ধরে এখানে থাকছি। একটা ড্রেন পরিষ্কার হয় না। সরকার এত প্রকল্প চালাচ্ছে, কিন্তু আমাদের কিছুই মেলে না।”(Howrah)
জেলাশাসক পি দিপাপ প্রিয়া অবশ্য শান্তভাবে সকলের অভিযোগ শোনেন এবং আশ্বাস দেন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার। তিনি জানান, “এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্যই হল মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে তাঁদের সমস্যাগুলি জানার সুযোগ পাওয়া। আমি যতটা সম্ভব দ্রুত সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে জানিয়ে সমাধানের চেষ্টা করব।”(Howrah)
প্রশাসনের অস্বস্তি
তবে এই ঘটনায় হাওড়া জেলা প্রশাসনের অস্বস্তি বেড়েছে। কর্মসূচির প্রথম দিনেই জনরোষে পড়ায় এটা পরিষ্কার যে বহু জায়গায় এখনও বহু সমস্যার সুরাহা হয়নি। সরকারি ফাইলের হিসাব আর মাটির মানুষের অভিজ্ঞতা—এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য বেশ স্পষ্ট।