‘বিদ্যুৎ সরবরাহের নামে বাংলায় ডাকাতি গোয়েঙ্কা-মমতার!’ বিস্ফোরক তরুণজ্যোতি

কলকাতা ৪ অক্টোবর: বিদ্যুতের বিল দিতে গিয়ে চোখ কপালে উঠছে বাংলার মানুষের (Bengal Politics)। বিশেষ করে পুজোর পর সমস্ত রকম এডজাস্টমেন্টের পর যে বিল মানুষের…

Bengal Politics

কলকাতা ৪ অক্টোবর: বিদ্যুতের বিল দিতে গিয়ে চোখ কপালে উঠছে বাংলার মানুষের (Bengal Politics)। বিশেষ করে পুজোর পর সমস্ত রকম এডজাস্টমেন্টের পর যে বিল মানুষের হাতে আসে তা দেখে আঁতকে ওঠেন বাংলার মানুষ। এই ইস্যুতেই এবার মুখ খুললেন বিজেপি নেতা এবং আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছেন তৃণমূল এবং সঞ্জীব গোয়েঙ্কা জুটি বেঁধে বিদ্যুৎ সরবরাহের নামে ডাকাতি করছেন।

Advertisements

তরুণজ্যোতির অভিযোগ, আরপি-এসজি গ্রুপ তৃণমূলকে ৪৪৪ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। আর সেই টাকা এখন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের মাধ্যমে আদায় করা হচ্ছে। তরুণ জ্যোতি আরো বলেছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নিয়মিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নগণ্য ছবিগুলো বেশি দামে কিনে নেন।

   

রেড রোডে পুজো কার্নিভাল, দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি মেট্রো পরিষেবা

বিনিময়ে তাদের গ্রুপ সরকারি সুবিধা পায়। এই দুর্নীতিপূর্ণ লেনদেন কর্পোরেটদের পকেট ভরিয়ে তুলছে, কিন্তু কলকাতার মানুষের হার্টফেল হওয়ার জোগাড়। এই CESE অন্য রাজ্যে কি মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে তার খতিয়ান তুলে ধরেছেন তরুণজ্যোতি। সেখানে দেখা যাচ্ছে কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ): গড়ে ~৭.৩১ টাকা/ইউনিট , বিকানের (রাজস্থান): গড়ে ~৬.২০ টাকা/ইউনিট, কোটা ও ভরতপুর (রাজস্থান): গড়ে ~৬.০০ টাকা/ইউনিট (ক্রয়মূল্য মাত্র ৪.২৬ টাকা)।

গ্রেটার নয়ডা (উত্তরপ্রদেশ): ০–১৫০ ইউনিট → ~৫.৫০ টাকা/ইউনিট, ১৫১–৩০০ ইউনিট → ~৬.০০ টাকা/ইউনিট, ৩০০+ ইউনিট → ~৬.৫০ টাকা/ইউনিট, সর্বনিম্ন ৪.৪০ টাকা/ইউনিট। তিনি আরও বলেছেন অন্যত্র বিদ্যুতের দর ৪.২৬–৬.২০ টাকা/ইউনিটের মধ্যে থাকলেও, কলকাতায় পরিবারগুলোকে ৭ টাকার বেশি দিতে হচ্ছে প্রায় ৭০% বেশি। অন্য রাজ্যে কম দরে চার্জ করতে পারলে কলকাতায় কেন নয়? তরুণজ্যোতির দাবি, এর পিছনে তৃণমূলের কমিশন আর কর্পোরেটের লোভ।

প্রতিটি অতিরিক্ত বিলই শোষণের প্রমাণ। এক্সহ্যান্ডেলে তরুণ জ্যোতির এই পোস্ট ঘিরে তৈরী হয়েছে বিতর্ক। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সাধারণ মানুষ বলেছেন রাজ্য সরকার ঋণ নেবে সেই ঋণ কেন সাধারণ মানুষকে শোধ করতে হবে। অনেকেই বলেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি নিয়ে এর আগেই সিবিআই তদন্ত হয়েছে। সারদা কাণ্ডের সময়ও সুদীপ্ত সেন মমতার ছবি কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে কিনেছিলেন। সুতরাং সঞ্জীব গোয়েঙ্কা এবং মমতার এই জুটি যথেষ্ট সন্দেহজনক এবং রাজ্য সরকারের বদান্যতায় স্রেফ দিনে ডাকাতি করছে CESE।