কলকাতা ২৮ সেপ্টেম্বর: খানাকুলের ঘোষপুর সার্বজনীন দুর্গোৎসব (Durga Puja) এবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। এ বছরের পুজোর থিম হল “ডিভিসির জল: খানাকুলের দুর্দশা!!!” দুর্গাপুজোর এই থিমের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা দামোদার ভ্যালি কর্পোরেশনের (ডিভিসি) বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দল বিজেপি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি এই পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেছেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। সমালোচকদের মতে, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের একটি প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে রাজ্য সরকার তাদের ব্যর্থতা ও বন্যা ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতার দায় ডিভিসির উপর চাপানোর চেষ্টা করছে।
খানাকুলের মানুষের অভিযোগ, তাদের দুর্দশার জন্য ডিভিসি নয়, বরং রাজ্য সরকারের অপরিকল্পিত প্রশাসন ও সমাধানের পরিবর্তে প্রচারের উপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া দায়ী। দুর্গাপুজোর মতো পবিত্র উৎসবকে রাজনৈতিক প্রচারের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা শুধুমাত্র নিন্দনীয়ই নয়, এটি সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ভাবনার অপমান বলেও বিবেচিত হচ্ছে।
বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে হুগলি জেলার জেলাশাসক শ্রীমতী মুক্তা আর্য এই পুজো প্যান্ডেল পরিদর্শনে গিয়ে ডিভিসির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করায়। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর এই আচরণকে সমোলোচকরা রাজনৈতিক স্বার্থে তোষামোদ হিসেবে দেখছেন। এই ঘটনা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটেও প্রশ্ন তুলেছে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে নির্বাচন কমিশনের উচিত এমন কর্মকর্তাদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা। যারা নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন। তারা আরও বলেছেন একজন পক্ষপাতদুষ্ট কর্মকর্তার উপর কি সত্যিই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ভার দেওয়া যায়? এই প্রশ্ন এখন খানাকুলের মানুষের মনে। এই ঘটনা শুধু খানাকুলের নয়, গোটা রাজ্যের শাসন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
ভারতে সর্বাধিক বিক্রিত এই সুপারবাইকের দামে বিরাট বদল!
দুর্গাপুজোর মতো একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে রাজনৈতিক প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা এবং সরকারি কর্মকর্তার এমন পক্ষপাতমূলক আচরণ কি বাংলার প্রশাসনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করছে না? সাধারণ মানুষের মতে এখন এমনই দুরবস্থা যে দুর্গাপুজোর মত সর্বজনীন উৎসবকেও রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।